নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শহরের বুকে ঐতিহ্যবাহী ওষুধের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যথেষ্ট। শনিবার বিকেল থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে ১১টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল। ক্ষয়ক্ষতির বহর অনেক। ঠিক কীভাবে আগুন লাগল, তার উত্তর খুঁজছে পুলিস ও দমকল। এদিনই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন। তার রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে, আগুন লাগার মূল কারণ।
এসবের মাঝে স্বভাবতই মন ভারাক্রান্ত কারখানার মালিকপক্ষ থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের। তবে কিছুতেই দমে যাওয়ার পাত্র নন তাঁরা। বলছেন, ‘এই প্রতিষ্ঠান আমাদের অনেক দিয়েছে। তাই বিপদের সময় আমরা সকলেই আশায় বুক বেঁধে আছি। একদিন নিশ্চয়ই আগের মতো উঠে দাঁড়াবে আমাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠান।’
দক্ষিণ কলকাতার বণ্ডেল রোডের দে’জ মেডিক্যালের কারখানায় শনিবার দুপুর সওয়া তিনটে নাগাদ আগুন লাগে। রবিবার দুপুরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানার এক কর্মচারী বলছিলেন, ‘আমাদের মন মেজাজ খুবই খারাপ। মালিকদেরও মন ভালো নেই। আচমকা এমন একটা ঘটনা ঘটে গেল, কিছুই ভালো লাগছে না।’ কর্মচারীদের মনে প্রতিষ্ঠানের মালিকদের প্রতি অগাধ ভরসা রয়েছে। সেই ভরসা থেকেই ওই কর্মচারী বলেন, ‘কাজকর্ম চলে যাওয়া নিয়ে আমরা কোনও আশঙ্কা করছি না। নিশ্চয়ই একটা কিছু হয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়!’ কারখানায় কর্মরতদের কথায়, ওই বিল্ডিংয়ে অ্যালোপাথি ওষুধ তৈরি হতো। কিন্তু বেশ কয়েক মাস সংস্কারের জন্য কাজকর্ম বন্ধ ছিল। তবে এই ক’মাস ওই বিল্ডিংয়ের প্রতিটি কর্মচারীকে মাইনে দেওয়া হয়েছে, এমনটাই দাবি করেন ওই কর্মচারী। তাই মন খারাপ হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু একেবারে ভেঙে পড়ার মতো অবস্থায় নেই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা। রয়েছে শুধুই আশায় বুক বেঁধে থাকা।