• মুখ্যমন্ত্রী আসছেন, জরুরি ভিত্তিতে সড়ক-সেতু মেরামতি আরামবাগে
    এই সময় | ০৪ আগস্ট ২০২৫
  • এই সময়, আরামবাগ: ২ নম্বর রাজ্য সড়ক ও ৭ নম্বর রাজ্য সড়কের সংযোগস্থল আরামবাগে দ্বারকেশ্বর নদের উপরে রামকৃষ্ণ সেতু দুলছে। বেহাল এই সেতুর স্বাস্থ্য। তার সঙ্গে বেহাল আরামবাগ–কলকাতা ২ নম্বর রাজ্য সড়ক ও সাত নম্বর রাজ্য সড়ক। দীর্ঘদিন ধরেই এই সেতুর হাল খারাপ, পাশাপাশি, আরামবাগ–কলকাতা রাজ্য সড়কও বড় বড় খানাখন্দে ভরা। অল্প বৃষ্টিতেই এই রাজ্য সড়ক প্রায় নদীতে পরিণত হয়ে যায়। জল শুকোলে, তার যে চেহারা বেরিয়ে আসে, তা ভয়ঙ্কর। ধুলোয় মেঘ জমে যায় গোটা এলাকাজুড়ে।

    আগামী কাল অর্থাৎ, ৫ অগস্ট বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আরামবাগ ও কামারপুকুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন। তাই, তার আগেই জরুরি ভিত্তিতে রামকৃষ্ণ সেতুর মেরামতির কাজ চলছে। কিন্তু তাতেও যানজটে নাকাল সেতুর দুই দিকের মানুষজন। দক্ষিণবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ এই রামকৃষ্ণ সেতুটিই যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। সেতুটির একদিকে গোঘাট, কামারপুকুর, ঘাটাল, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, অন্য দিকে, আরামবাগ শহর, বর্ধমান, কলকাতা ও তারকেশ্বর।

    দক্ষিণবঙ্গের মধ্যমণি এই আরামবাগ। তার পাশেই দ্বারকেশ্বরের উপরে রামকৃষ্ণ সেতু। পাশাপাশি, আরামবাগ–কলকাতা ২ নম্বর রাজ্য সড়কেও বড় বড় গর্ত। বর্ষায় জল জমায়, যেখানে রীতিমতো নৌকো চালানো যাবে বলেই মনে করছেন এলাকার ভুক্তভোগীরা। মায়াপুর থেকে জয়রামপুর পর্যন্ত প্রায় চার কিমি রাস্তা হেঁটেও চলাচল করা যাচ্ছে না। রাস্তার হাল এমনই যে, গত ৩০ জুলাই মায়াপুরে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। যেখানে এক শিশুকন্যা–সহ দু’জনের মৃত্যু হয়।

    এ বার যেহেতু পাঁচ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী আসছেন, তখন জরুরি ভিত্তিতে এই রাজ্য সড়কে রাত–দিন এক করে চলছে মেরামতির কাজ। প্রশ্ন উঠেছে, এত দিন কেন কোনও কাজ হয়নি? যেই মুখ্যমন্ত্রী আসছেন, তখনই রাস্তা সারাই শুরু হয়ে গেল! তবে দেরিতে হলেও, জরুরি ভিত্তিতে কাজ হওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন মানুষজন।

    তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক স্বপন নন্দী বলেন, ‘আসলে পুজোর আগে যেমন মা দুর্গা এই ধরায় আসেন, তখন আমরা যেমন ঘর–গেরস্থালি গোছগাছ, পরিষ্কার করি, ঠিক তেমনই, আমাদের মা দুর্গা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন, তাই আমরা ঘর গোছাচ্ছি, সারাই করছি।’ বিজেপি অবশ্য এ নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। বিজেপির নেত্রী দোলন দাস বলেন, ‘আসলে মমতা আসছেন, ওঁর যাতে মাথা ঠুকে না যায়, পায়ে যেন মোচড় না লাগে, এ সবের জন্যই তো রাস্তার কাজ হচ্ছে। মানুষ মরল কি বাঁচল, তাতে এদের কিছু যায়–আসে না।’ যদিও এলাকার মানুষজন জানিয়েছেন, আর যাই হোক না কেন, মুখ্যমন্ত্রী আসছেন বলেই তো দপ্তর নড়েচড়ে বসেছে। রাস্তায় স্বস্তি ফিরেছে। এই ভাবে প্রতি মাসে যদি মুখ্যমন্ত্রী বা অন্য মন্ত্রীরা এই রাস্তা দিয়ে আসেন, তা হলে রাস্তাগুলো ভালো থাকে।

  • Link to this news (এই সময়)