• পুত্রসন্তান না হওয়ায় মারধরের অভিযোগ, কলকাতায় গৃহবধূর রহস্যমৃত্যু
    এই সময় | ০৮ আগস্ট ২০২৫
  • নারকেলডাঙা থানা থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার। মৃতের নাম শ্বেতা প্রসাদ সাহু (২৮)। মৃতের বাবার দাবি, তাঁর মেয়ের দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে, পুত্রসন্তান না হওয়ায় শ্বশুরবাড়িতে মারধর করা হতো। শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারের কারণেই তাঁর মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটে বুধবার দুপুরে। গৃহবধূর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে নারকেলডাঙা থানার পুলিশ।

    যদিও শ্বেতার স্বামী রোহিত কুমারের দাবি, তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। ঘরের ভিতর থেকে তাঁর গলায় ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশি জেরায় রোহিত আরও জানিয়েছেন, বুধবার সকাল সাতটায় তিনি কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হন। ১১টা নাগাদ মধ্যাহ্নভোজনের জন্য বাড়ি ফেরেন।

    মেঘালয়ে তাঁদের পূর্বনির্ধারিত ট্যুর নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বচসা শুরু হয়। আর্থিক কারণে সেই ট্যুর বাতিল করা হয়েছিল। সেটা নিয়েই স্ত্রীর সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদ হয় বলে রোহিতের দাবি। শ্বেতা এর পরেই নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। কিছুক্ষণ সাড়া না পাওয়ায় দরজা ভেঙে দেখা যায় শ্বেতার ঝুলন্ত দেহ, এমনটাই দাবি রোহিতের।

    অন্যদিকে শ্বেতার বাবা ওমপ্রকাশ প্রসাদের দাবি, ‘শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের কারণেই আমার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। মেয়েকে মারধর করা হতো দীর্ঘদিন। কোনও পুত্রসন্তান না হওয়ার জন্য ওকে মারধর করা হতো। এছাড়াও আমার জামাইয়ের একটি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সেটা নিয়ে কিছু বললেও মারধর করা হতো।’ ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

    পুলিশের দাবি, ২০১৫ সালে রোহিতের সঙ্গে শ্বেতার বিবাহ হয়। তাঁদের দু'টি কন্যাসন্তান রয়েছে। গত দুই বছর ধরে দু’জনের সম্পর্কে ফাটল ধরে। মাঝেমধ্যেই দু’জনের বিবাদ হতো বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরাও। গৃহবধূ অবসাদ থেকে আত্মহত্যা করেছেন, নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ।

  • Link to this news (এই সময়)