• ‘বিচারব্যবস্থা রক্তপিপাসু হলে চলে না’, ফাঁসির সাজা খারিজ করে মন্তব্য হাই কোর্টের
    প্রতিদিন | ০৮ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মামাবাড়িতে মানুষ হওয়ার পরেও ডাকাতির উদ্দেশে মামাকে খুন। মামীকে খুনের চেষ্টা। গত ২০২৩ সালের ২৮ জুলাইয়ের ঘটনায় আফতাব আলমকে দোষী সাব্যস্ত করে জলপাইগুড়ি জেলা আদালত। ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ এই ঘটনায় ফাঁসির সাজা দেয় আদালত। সেই রায় খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। ‘বিচারব্যবস্থা রক্তপিপাসু হলে চলবে না’, মন্তব্য বিচারপতির।

    বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি উদয় কুমারের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “প্রতিশোধ, প্রতিবিধান এবং সংস্কার হল শাস্তির তিনটি মূল স্তম্ভ। কারাগারের নাম ‘প্রিজন’ থেকে ‘কারেকশনাল হোম’ করা হয়েছে। তাই অপরাধকে ঘৃণা করো। অপরাধীকে নয়। যদি কাউকে মৃত্য়ুদণ্ড দেওয়া হয়। সেই জীবন আর ফেরানো সম্ভব নয়। ভবিষ্যতে যদিও দেখা যায় নতুন প্রমাণ হাতে এসেছে, তখন আর কিছুই প্রয়োগ করার উপায় থাকবে না। মৃত্যুদণ্ড হল চূড়ান্ত।” বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, “বিচারপতিরা রক্তপিপাসু হতে পারেন না।” এক্ষেত্রে বিচারপতি ১৯৮০ সালে সুপ্রিম কোর্টে ‘বচন সিং বনাম পাঞ্জাব সরকার’ মামলার প্রসঙ্গ তোলেন।

    দোষী আফতাব আলমের আইনজীবীর দাবি, তাৎক্ষণিক পরিস্থিতিতে মামাকে খুন করে সে। তার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। একথা শোনার পর বিচারপতি জানান, মাত্র ২০ বছর বয়সি আলমের বিরুদ্ধে এমন কোনও তথ্য নেই যে সে সংশোধনের ঊর্ধ্বে। এই যুক্তিতে তার ফাঁসির সাজা রদ করে দেয় আদালত। তাকে আগামী ২০ বছরের যাবজ্জীবন সাজা দেয় আদালত। এই সময়ের মধ্যে প্যারোলেও মুক্তি পাবে না দোষী।
  • Link to this news (প্রতিদিন)