অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি তুলে বৃহস্পতিবার সংবাদিক সম্মেলন করেন বারাসত শহর আইএনটিটিইউসি সভাপতি অভিজিৎ আচার্য্য। তিনি বলেন, “অন্যান্য দিনের মত বুধবারও ইউনিয়ন অফিসে সদস্যরা ছিল। বাইরের চায়ের দোকানেও কিছু কলেজ পড়ুয়া ছিল। বিরোধী দলনেতার মিছিল যাওয়ার সময় তারা জয় বাংলা স্লোগান দেয়। বিজেপি কটূক্তি শুরু করে। প্রতিবাদ করেন ইউনিয়ন অফিসে উপস্থিত সদস্যরা। তখনই ওই মিছিল থেকে জঙ্গি হামলা শুরু করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ দলীয় ব্যানার, পতাকা ছিঁড়ে দেয় ওরা। এ নিয়ে আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজও পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”
অন্যদিকে, ঘটনায় দায় তৃণমূলের দিকে ঠেলে এদিন বারাসত থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বারাসত জেলা যুব মোর্চার সভাপতি পিকলু শর্মা বলেন, “পুলিশ থাকা সত্ত্বেও বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূল হামলা চালিয়েছে। আমরা আগে থেকেই পুলিশকে সতর্ক করেছিলাম। তবুও পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। এরই প্রতিবাদে আমাদের থানা ঘেরাও কর্মসূচি।” আগামী ২৪ ঘণ্টায় অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার না হলে বারাসত স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছি বিজেপি।
উল্লেখ্য, বুধবার বিকেলে বারাসতে কন্যা সুরক্ষা যাত্রা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১২নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন ন’পাড়া কালীবাড়ি এলাকা থেকে মিছিল শুরু হয়ে কলোনিমোড় হয়ে ফ্লাইওভার ধরে চাঁপাডালি মোড় পেরোতেই উত্তেজনা ছড়ায়। চাঁপাডালি মোড়ের তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের অফিস পেরোতেই তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন ও ছাত্র সংঠনের পতাকা হাতে কয়েকজন ‘জয় বাংলা স্লোগান’ দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, তখনই বিজেপির মিছিল থেকে পালটা স্লোগানের পাশাপাশি ছোড়া হতে থাকে ইট-পাটকেল। অভিযোগ মিছিলের একাংশর অভিমুখ ঘুরে যায় আইএনটিটিইউসি পার্টি অফিসের দিকে। বিজেপি কর্মীরা ঝান্ডার ডান্ডা দিতে এলোপাথাড়ি হামলা চালাতে থাকে। আক্রান্ত হন তৃণমূল কর্মী-সহ কয়েকজন। হামলা চালানো হয় আইএনটিটিইউসি অফিসেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।