• যৌনকর্মীদের উৎপাতে রাস্তায় হাঁটা দায়, কালীঘাটে নাগরিক-অভিযোগে ‘অস্বস্তি’
    বর্তমান | ০৮ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘পাড়ায় উৎপাত বাড়ছে যৌনকর্মীদের! তাদের দাপটে রাস্তায় হাঁটা দায়। যত্রতত্র দাঁড়িয়ে ইতিউঁতি চাউনিতে ‘গ্রাহক’ জোগাড়ে ব্যস্ত তারা। কখনও কখনও আবার সন্ধ্যা নামলে অন্ধকারের সুযোগে রাস্তাতেই অশোভন কাজকর্মে লিপ্ত হচ্ছে তারা। সেই সঙ্গে প্রকাশ্যে নেশাখোরদের রমরমা। দিনে-রাতে সব সময় এক ‘অস্বস্তিকর’ পরিস্থিতি। নিত্য ঝামেলা। এর সমাধান করুন’— বৃহস্পতিবার ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ শিবিরে কালীঘাট অঞ্চলের বাসিন্দাদের একাংশের এমন অভিযোগ শুনে রীতিমতো অস্বস্তিতে বিধায়ক, কাউন্সিলার থেকে শুরু করে পুরকর্মীরা। সমস্যার সমাধান কীভাবে হবে, তার উত্তর অবশ্য অধরা। যদিও, পাড়া-সুরক্ষায় বিভিন্ন রাস্তা, অলিগলিতে সিসি ক্যামেরা লাগানোর আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক।

    এদিন কালীঘাট হাইস্কুলে শিবির বসেছিল। সেখানে অঞ্চলের বিভিন্ন মানুষ তাঁদের সমস্যা জানাতে এসেছিলেন। সেখানে একাধিক বক্তব্যে শোনা গিয়েছে, যৌনকর্মীদের বাড়বাড়ন্তের কথা। হাজরা রোড, কালীঘাট রোড, গোবিন্দ রায় লেন, মহিম হালদার স্ট্রিট, সর্বত্র ছবিটা এক। হাজরা রোডের বাসিন্দা গোরা মুখোপাধ্যায় বলেন, দিনে-রাতে ওরা দাঁড়িয়ে থাকছে। দিন দিন এই সমস্যা বাড়ছে। নতুন নতুন লোকজনের আনাগোনা। বহিরাগতরা ঢুকছে। রাত বাড়লেই ঝামেলা। পাড়ার ভিতরে হাঁটা যায় না। একই কথা শোনা গিয়েছে পিকু ঘোষের মুখেও। তিনি বলেন, বুধবার রাতেই গোবিন্দ রায় লেনে ঝামেলা হয়েছে। সকাল, বিকেল, রাত-কোনও সময় নিস্তার নেই। বাচ্চারা স্কুলে যায়। সেখানেই বাইরে থেকে এসে মহিলারা দাঁড়িয়ে থাকে। নানা ধরনের মানুষজন আসছে। পাড়ার কালচারটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেউ কিছু বলতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিচ্ছে। দিনে-রাতে প্রকাশ্যে চলছে গাঁজা-মদের ঠেক। পাড়ার বাচ্চারা কী শিখবে বলুন তো? তাই সরকারিভাবে যখন এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, হাতের কাছে বিধায়ক দেবাশিস কুমারকে পেয়েছি, তাঁর সামনেই তাই অভিযোগ জানিয়েছে। উনি বলেছেন, রাস্তায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর ব্যবস্থা করবেন। অপর এক  বাসিন্দা কাকলি চন্দ্রও বলেন, ‘পাড়ার পরিবেশটাই খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তাই এলাকার সকলে মিলে চিঠি দিয়েছি।’ 

    অন্যদিকে, স্থানীয় ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রবীরকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, কালীঘাট অঞ্চলের বিভিন্ন রাস্তায় এই সমস্যা প্রবল। কারও রুজি রোজগারের আমরা কাড়তে চাই না। কিন্তু অনেক সময় তাদের বারণ করা হয়। রাস্তায় তারা যেন এভাবে না দাঁড়ায়। বহিরাগতরা পাড়ায় আসছে। স্বাভাবিকভাবে এলাকার পরিবেশ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা চিন্তিত। সমাধান কীভাবে করা যায়, সেই চেষ্টা অবশ্যই করব।
  • Link to this news (বর্তমান)