লোকসভার দলনেতা হলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এই দায়িত্ব নিয়েই অভিষেক দেখা করলেন স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের মুখ্য সচেতক কাকলি ঘোষদস্তিদার এবং উপ-দলনেতা শতাব্দী রায়। স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাতে অভিষেক এসআইআর নিয়ে সংসদে আলোচনার আর্জি জানান। অধ্যক্ষকে অভিষেক অনুরোধ জানান, তাঁদের দাবি মেনে নিয়ে সংসদে ‘এসআইআর’ নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ দেওয়া হোক।
জানা গিয়েছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা হতেই সংসদে সরগরম দল। এদিন সংসদ ভবনের অফিসে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করে দলের আগামী কর্মসূচির রূপরেখা ঠিক করা হয়। দলের সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড সাংসদদের বৈঠকে বাংলা ভাষা-বাঙালিদের নিয়ে যে বিভিন্ন রাজ্যে অত্যাচার করা হচ্ছে, বাঙালিদের অপমান এবং এসআইআর নিয়ে সংসদের ভিতরে ও বাইরে দিল্লিতে আন্দোলন আরও জোরদার করার আদেশ দিলেন।
এদিকে কংগ্রেসের সঙ্গে সমন্বয় রাখার নির্দেশ দিলেন অভিষেক। রাতে রাহুলের বাড়িতে ‘ইন্ডিয়া জোটে’র নৈশভোজে যোগ দেবেন তিনি। সেখানে আগামী ১১ আগস্ট দিল্লিতে কমিশন অফিস মার্চ নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হবে। সেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিহারের ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন এবং বাংলা ভাষার অপমান ইস্যুতে কেন্দ্রকে কোণঠাসা করতে প্রায় প্রতিদিনই জোরালো স্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তৃণমূল। সঙ্গে কংগ্রেসও তৃণমূলের সুরে সুর মেলাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, অভিষেকের নির্দেশেই বাংলা-বাঙালি ইস্যুতে সংসদ চত্বরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সাংসদরা, হাতে বাংলার মনীষীদের ছবি-সহ বিভিন্ন ব্যানার ও পোস্টার ছিল। সঙ্গে বাংলা ভাষার অপমান নিয়ে স্লোগান এবং রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইতে থাকেন মহিলা সাংসদরা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এদিনের ওই বিক্ষোভে যোগ দেয় কংগ্রেসও। তবে শুধু সংসদের বাইরের বিক্ষোভ নয়, সংসদের অন্দরেও তৃণমূলের সঙ্গে সমন্বয় রাখতে চাইছে প্রধান বিরোধী দল। এদিন বাংলা ভাষার উপর আক্রমণ এবং বিজেপি শাসিত রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার নিয়ে সংসদের দুই কক্ষেই মূলতুবি প্রস্তাব দেয় কংগ্রেসও। সেটাও বস্তুত তৃণমূলের সঙ্গে সমন্বয় গঠনের লক্ষ্যেই।