• মঙ্গলবার ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৮ আগস্ট ২০২৫
  • বৃহস্পতিবার ডিএ মামলার শুনানি শেষ হল সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার থেকে চলছে এই মামলার শুনানি। বুধবার মামলাকারী, অর্থাৎ সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য শুনেছে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার পাল্টা সওয়াল করেন রাজ্যের আইনজীবীও। কিন্তু এদিন ডিএ মামলার শুনানিতে প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, রাজ্যকে আদালতের নির্দেশ মানতে হবে। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, রাজ্যই বলেছিল তারা রোপার ভিত্তিতে ডিএ দেবে। বলা হয়েছিল, বকেয়া ডিএ-ও দেওয়া হবে। আগামী মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, রাজ্য আগেই জানিয়েছিল, লক্ষ লক্ষ কর্মচারীর ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ মেটাতে হলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু রাজ্যের আর্থিক সঙ্কট রয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটেও এমন কোনও বরাদ্দ নেই। তাই এখনই বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মেটানো সম্ভব নয়। এ জন্য আরও সময়ের প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশ পুনর্বিবেচনারও আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়।

    এদিকে রাজ্যের আইনজীবী শ্যাম দিওয়ান পাল্টা সওয়াল করেন, সরকার ডিএ দেওয়ার আগে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে। বাজেটের বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের আর রাজ্যের নীতি আলাদা। যেহেতু এক্ষেত্রে রাজ্য জড়িত, ফলে রাজ্যের কর্মচারীদের কিসের ভিত্তিতে ডিএ দেওয়া হবে, তা রাজ্যের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। কেন্দ্রীয় হারেই ডিএ দিতে হবে, এমন বাধ্যবাধকতা নেই।

    উল্লেখ্য, এদিন শুরুতেই মামলাকারীদের আইনজীবীর প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য। প্রথমে সরকারি কর্মচারীদের তরফে আইনজীবী করুণা নন্দী সওয়াল করেন, কেরল সরকার অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (এআইসিপিআই) মানেনি, তা সত্ত্বেও তারা কর্মচারীদের নিয়মিত ডিএ দিয়েছে। এই উদাহরণ দেখিয়ে তিনি আরও বলেন, এর থেকেই প্রমাণ হয় যে কেন্দ্রীয় ইনডেক্স না মানলেও ডিএ প্রদান বাধ্যতামূলক। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি সঞ্জয় করোলের পর্যবেক্ষণ, যদি রাজ্য সরকারের যুক্তি গণ্য করা হয়, তা হলে এই পদক্ষেপকে স্বেচ্ছাচারিতা বলে গণ্য করা হতে পারে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)