এই সময়: একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা এবং একজোড়া ঘূর্ণাবর্তে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্যজুড়ে। আবহবিদরা জানিয়েছেন, রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন জেলায় সামনের এক সপ্তাহ ধরে হালকা থেকে মাঝারি এবং কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে চলেছে।
পাঞ্জাবের ফিরোজপুর থেকে উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং উত্তরবঙ্গ ও অসম পার করে অরুণাচলপ্রদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ ও অসমের উপরে অবস্থান করছে একজোড়া ঘূর্ণাবর্ত। এই দুই ঘূর্ণাবর্ত মাটি থেকে তিন থেকে ছ'কিলোমিটার উচ্চতায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার আলিপুর হাওয়া অফিস বাংলাদেশের উপরে তৈরি ঘূর্ণাবর্তটি সম্পর্কে জানিয়েছে, এটি কিছুটা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে অর্থাৎ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের দিকে হেলে রয়েছে। এই ঘূর্ণাবর্তটির প্রভাবে সামনের সাত দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আবহবিদরা জানাচ্ছেন, আজ, শুক্রবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাসও বইতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্র থেকে রবিবার পর্যন্ত উত্তরের দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আবার শনি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে বৃষ্টি হলেও দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বজায় থাকবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ খুব বেশি থাকার কারণেই এই পরিস্থিতি। এর মধ্যে সোমবার উত্তরবঙ্গে, বিশেষত, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে ফের অতিভারী বৃষ্টির (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার) সতর্কতা জারি করা হয়েছে।