বিক্রম রায়, কোচবিহার: সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ, বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপির প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের একটি গাড়ির কাঁচও ভাঙা হয়েছে বলে অভিযোগ। আজ, শুক্রবারের ঘটনা ঘিরে কোচবিহারে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির দাবি, তৃণমূল এই হামলার সঙ্গে জড়িয়ে। যদিও তৃণমূলের দাবি, বাংলার শ্রমিকদের উপর বিজেপশাসিত রাজ্যে ‘অত্যাচার’ হচ্ছে। কোচবিহারের অনেক পরিযায়ী শ্রমিকও আক্রান্ত হয়েছেন। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই মানুষের এই বহিঃপ্রকাশ।
কোচবিহারের দিনহাটার নাজিরহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শালমারা এলাকায় বিজেপির চার নেতা-কর্মীর বাড়িতে বৃহস্পতিবার হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। মারধরের পাশাপাশি লুটপাটও চালানো হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনাই খতিয়ে দেখতে আজ, শুক্রবার ওই এলাকায় গিয়েছিলেন বিজেপির প্রতিনিধি দল। সেই প্রতিনিধি দলে ছিলেন তুফানগঞ্জের বিধায়ক মালতিরাভা রায়, মাথাভাঙার বিধায়ক সুশীল বর্মণ, শীতলকুচির বিধায়ক বরেণচন্দ্র বর্মণ, ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ ও কোচবিহারের জেলা সভাপতি অভিজিৎ বর্মণ। এছাড়াও ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতারা।
অভিযোগ, ওই বিজেপি নেতা-কর্মীর সঙ্গে দেখা করার পর প্রতিনিধি দল ফেরার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন। সাধারণ মানুষজন, মহিলারা তাঁদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অভিযোগ, ওই প্রতিনিধি দলের একটি গাড়ির কাঁচও ভাঙা হয় বলে অভিযোগ। পরে ওই প্রতিনিধি দল বিক্ষোভের মধ্যেই এলাকায় ছাড়ে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল এই হামলা চালিয়েছে। যদিও সেই অভিযোগ মানতে অস্বীকার করেছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্কে নেই। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর বিজেপিশাসিত রাজ্যে অত্যাচার হচ্ছে। বাংলাদেশি অভিযোগে মারধর, লুট, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কোচবিহারের একাধিক পরিযায়ী শ্রমিকের উপর নির্যাতন চলেছে। অনেকে জেলায় ফিরে এসেছেন। কেন এমন ঘটনা বিজেপিশাসিত রাজ্যে হচ্ছে? রাজ্যের বিজেপি নেতারা কী করছেন? সেই প্রশ্ন সাধারণ মানুষ করেন বিজেপি প্রতিনিধি দলের কাছে। সেখান থেকেই মানুষের এই বিক্ষোভ বলে দাবি উদয়নের।