‘ভয় পাবেন না’! মুখ্যমন্ত্রী মমতার নির্দেশে হরিয়ানায় বসবাসকারী পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল সাংসদ সামিরুল
আনন্দবাজার | ০৮ আগস্ট ২০২৫
হরিয়ানার গুরুগ্রামে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ তথা পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন বিজেপিশাসিত রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি সন্দেহে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। হরিয়ানাও তার ব্যতিক্রম নয়। সেখানেও পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকেরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুক্রবার গুরুগ্রামে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করলেন সামিরুল।
শুক্রবার গুরুগ্রামের বিভিন্ন বাঙালি বসতি ঘুরে দেখেন সামিরুল। সেখানে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের পরিস্থিতির বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তৃণমূল সাংসদ বলেন, “প্রায় সব বস্তি থেকেই অধিকাংশ বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক ইতিমধ্যে আমাদের পশ্চিমবঙ্গে ফিরে এসেছেন। যাঁরা কাজের জন্য এবং পরিবারের জন্য সেখানে থেকে গিয়েছেন, তাঁরা আজ ভয় আর উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। শুধু বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্যই আতঙ্কে রয়েছেন।”
বিজেপিকে নিশানা করে সমাজমাধ্যমেও বাঙালি-হেনস্থার প্রতিবাদে সরব হন সামিরুল। তিনি লেখেন, ‘তাঁরা (গুরুগ্রামে বসবাসকারী পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকেরা) ২০-২৫ বছর ধরে আছেন। আজ বিজেপি এমন এক অদ্ভুত বাতাবরণ তৈরি করেছে, যে বাংলা ভাষায় কথা বললেই সাধারণ মানুষকে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’ সেখানে বসবাসকারী বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন সামিরুল। পরিযায়ী শ্রমিকদের আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
বস্তুত, বৃহস্পতিবারই হরিয়ানা থেকে ১০৩ জন পরিযায়ী শ্রমিক কোচবিহারে ফিরে এসেছেন। হরিয়ানা থেকে দু’টি বাস ভাড়া করে তুফানগঞ্জে ফিরেছেন তাঁরা। বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্যে বাংলাদেশি সন্দেহে তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। এমনকি, যে জায়গায় তাঁরা কাজ করছিলেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার হুমকিও দেন বলে অভিযোগ।