• ছ’দিন ধরে পরিস্রুত জল অমিল, বিক্ষোভ সাতগ্রামে
    আনন্দবাজার | ০৮ আগস্ট ২০২৫
  • ছ’দিন ধরে পরিস্রুত পানীয় জল মিলছে না। প্রতিকারের দাবিতে বুধবার জামুড়িয়ায় ইসিএলের শ্রীপুর সাতগ্রাম এরিয়া কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখালেন আসানসোল পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের এবিপিট এলাকার বাসিন্দাদের বাসিন্দাদের একাংশ। এরিয়া কর্তৃপক্ষ দ্রুত সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন‌। একই পরিস্থিতি রানিগঞ্জের আমরাসোতা পঞ্চায়েত এলাকায়ও।

    পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানান, এই এলাকায় ইসিএল এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর (পিএইচই) পৃথক ভাবে পাইপলাইনে জল সরবরাহ করে।‌ কিন্তু ছ’দিন ধরে দুই সংস্থা জল পাঠাচ্ছে না। এর জেরে এবিপিট, উপর ধাওড়া, নিচু ধাওড়া, হাসপাতালপাড়া, স্টাফপাড়া, কালিধাওড়া, মুন্ডা ধাওড়ার আটশোর বেশি পরিবার বিপাকে পড়েছে।‌ বাসিন্দা সন্দীপ মুখোপাধ্যায়, সজল ওঝা, কুন্দন যাদবেরা বলেন, “কালাঝরিয়া জলপ্রকল্পের সেতু ভেঙে যাওয়ার পরে পিএইচই অনিয়মিত জল সরবরাহ করছিল। ছ’দিন হল পুরোপুরি বন্ধ। অন্য দিকে ইসিএলের পাম্প বিকল হয়ে যাওয়ায় তারাওজল সরবরাহ করতে পারছে না। বাধ্য হয়ে কুয়ো, পুকুরের জল ব্যবহার করতে হচ্ছে। অনেকে জল কিনে খাচ্ছেন।” বাসিন্দারাদের দাবি, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প গত নভেম্বরে বিকল হয়ে যাওয়ার পরে এক মাসজল সরবরাহ বন্ধ ছিল।‌ পরিবর্তে তুলনায় কম ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প বসানো হয়। সেটিও বিকল। এই পরিস্থিতিতে পুরসভাও জল সরবরাহের ব্যবস্থা করেনি। বাসিন্দাদের দাবি, বড় এলাকা। তাই এরিয়া কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন,৯০ অশ্বশক্তি ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প বসানো হোক।

    এরিয়া কার্যালয়ের এক আধিকারিক জানান, চার দিনের মধ্যে বিকল পাম্পটি সারিয়ে জলসরবরাহ করা হবে। এর পরে বাসিন্দাদের দাবি মতো উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প বসানো হবে। আসানসোল পুরসভার এক নম্বর বরো চেয়ারম্যান শেখ সানদার জানান, যেখানে জলের সঙ্কট আছে, সেখানেই পুরসভার পক্ষ থেকে ট্যাঙ্কারে জল পাঠানো হচ্ছে।‌ এই এলাকার বাসিন্দারা পুরসভাকে‌ সমস্যার কথা জানাননি বলে দাবি সানদারের। তবে এ বার ট্যাঙ্কারে জল পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    এ দিকে, আমরাসোতা পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, পিএইচই পাইপলাইনে জল সরবরাহ করে। তবে কালাঝরিয়া জলপ্রকল্পের সেতু ভেঙে যাওয়ার পরে এক দিন অন্তর জল সরবরাহ করা হচ্ছিল। ছ’দিন হল জল সরবরাহ বন্ধ। পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জয় হেমব্রমের দাবি, বিডিও (রানিগঞ্জ) শুভদীপ গোস্বামীর মাধ্যমে জেলাশাসকের কাছে মঙ্গলবার প্রতিকারের আবেদন তিনি জানিয়েছেন। প্রধান সঞ্জয় বলেন, “১৫টি পাড়ার বাসিন্দারা বিপাকে পড়েছেন। প্রতিটি এলাকায় ট্যাঙ্কারে জল পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছে।” বিডিও শুভদীপ জানান, পিএইচই-কে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ট্যাঙ্কারে জল পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে তাদের তরফ থেকে তাঁকে জানানো হয়েছে।‌
  • Link to this news (আনন্দবাজার)