ঘটা করে নাম বদলেছে। আশ্বাস মিলেছে উন্নত পরিষেবার। বাইরে ঝাঁ চকচকে সুপার স্পেশালিটি হলেও বদল ঘটেনি পরিষেবার। এমনকি, শংসাপত্রের মাথায় লেখা সেই পুরনো নাম, ‘বেলদা গ্রামীণ হাসপাতাল’।
বেলদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল সম্পর্কে এমন তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি।অসমের তরুণীর সদ্যোজাত সন্তানের জন্মের শংসাপত্র দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানে লেখা ‘রুরাল হসপিটাল বেলদা’। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কেন ঘটা করে নীল-সাদা পাঁচতলা ঝাঁ চকচকে ভবনের উদ্বোধন হল? জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বলেন, ‘‘সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের জন্য যে লোকবল প্রয়োজন, সেটা সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে চেয়েছি। আশা করছি শীঘ্রই পেয়ে যাব।’’
২০২৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি জেলার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বেলদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেলদা গ্রামীণ হাসপাতাল (পুরনো ভবনে চলে প্রশাসনিক কাজকর্ম) চত্বরে গড়ে উঠেছে নয়া হাসপাতালটি। সেই থেকেই বিভিন্ন পরিষেবা অমিলের অভিযোগ ছিল। চালুর অনেক পরে সেখানে সিজ়ার শুরু হয়। সম্প্রতি এসেছে ইউএসজি ‘পোর্টেবল’ মেশিন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নামে সুপার স্পেশালিটি হলেও এখানে নেই ব্লাড ব্যাঙ্ক, চক্ষু বিভাগ। ডায়ালিসিসি তো দূর অস্ত, নেই এক্স রে-এর ব্যবস্থাও। স্বাভাবিক ভাবে বেলদা, দাঁতন, কেশিয়াড়ি, নারায়ণগড়ের মানুষের ভরসা নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। প্রায় ২০-৩০ কিলোমিটার দূরের সেই হাসপাতালেই চিকিৎসা করান এই সব এাকার অনেকে।
সূত্রের খবর, নামের সমস্যা ছিল নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেরও। দু’বছর আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় খড়িকামাথানি গ্রামীণ হাসপাতাল বদলে পাকাপাকি ভাবে নয়াগ্রাম সুপার স্পেশালিটি নামটি খাতায়কলমে নথিভুক্ত হয়েছে। সূত্রের খবর, পরিষেবা সুপার স্পেশালিটির মতো চালু না হওয়া পর্যন্ত নাম বদলানোর ক্ষেত্রে অনুমোদন দেয় না সংশ্লিষ্ট দফতর। তাই বেলদা এখনও খাতায়কলমে গ্রামীণ হাসপাতালই রয়ে গিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, অর্থ দফতরের কিছু অনুমোদন এখনও না মেলায় পরিষেবা বাড়ানো যাচ্ছে না।