পড়ুয়াদের শেখার মাধ্যম হবে স্কুল ভবনও। ভবনের করিডর, দেওয়াল, পিলার, সিঁড়ির ধাপে আঁকা থাকবে নানা বিষয়বস্তু। চলাফেরা করতে গিয়ে তা চোখে পড়বে পড়ুয়াদের। ওই ছবি দেখেই অনেক কিছু জানতে, বুঝতে পারবে পড়ুয়ারা। সমগ্র শিক্ষা মিশনের উদ্যোগে জেলার প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক ও হাই স্কুল গুলিতে শুরু হতে চলেছে ‘বিল্ডিং অ্যাজ লার্নিং এড’ (বালা) প্রকল্প। স্বাধীনতা দিবসের আগেই কাজ শেষ করবেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
শিশু, কিশোর পড়ুয়াদের জানার পরিসর বাড়ানোর প্রয়াস নিয়েছে রাজ্য সমগ্র শিক্ষা মিশন। সম্প্রতি জেলায় এসেছে নির্দেশিকা। ১০০ বা তার বেশি পড়ুয়া থাকা প্রাথমিক স্কুল, উচ্চ প্রাথমিক ও হাই স্কুল গুলিকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জেলা সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফ থেকে। স্কুল ভবন, ক্লাসরুম, করিডর-সহ একাধিক জায়গায় ছবি ও লেখার মাধ্যমে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হবে পড়ুয়াদের সামনে। স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে ১৩-১৪ অগস্টের মধ্যে স্কুলগুলিকে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে নির্দেশিকায়। জেলাভিত্তিক প্রকল্প রূপায়নের ক্ষেত্রে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের সঙ্গে আলোচনা করে নেবেন জেলা শিক্ষা আধিকারিক। এ জন্য শতাধিক পড়ুয়াবিশিষ্ট প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি পাবে ৫০০ টাকা। উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলি পাবে ১৫০০ টাকা। হাই স্কুল পিছু বরাদ্দ হয়েছে ১৫০০ টাকা।
জেলা শিক্ষা আধিকারিক সঞ্জীব দাস বলেন, ‘‘শিক্ষক ও পড়ুয়ারা মিলিত ভাবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করবেন। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার প্রভূত অবদান রয়েছে। স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে এই কর্মসূচি হওয়ার কারণে বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিষয়টি তুলে ধরার কথাও বলেছি।’’ ডিআই (প্রাথমিক) শ্যামলচন্দ্র রায় বলেন, ‘‘স্কুল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারাও এই কর্মসূচিতে সামিল হতে পারেন। মনীষীদের ছবি, বাণী, পাঠ্যবিষয়-সমূহ ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলবে স্কুলগুলি। আমরাও তদারকি করব।’’ শহরের সদর প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরূপ দে বলেন, ‘‘এ ধরণের উদ্যোগের ফলে পড়ুয়ারা উপকৃত হবে। দৃষ্টিনন্দন ছবি ও লেখায় স্কুলের সৌন্দর্যও বাড়বে। পড়ুয়ারা বেশি করে স্কুলমুখী হবে।’’