৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় চা শ্রমিকদের বোনাস বৈঠক, উৎপাদনে ঘাটতি ২০ শতাংশের বেশি
বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: আগামী ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর চা বাগানের শ্রমিকদের বোনাস বৈঠক। কলকাতায় বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের অফিসে ওই বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে চা বাগানের মালিকদের মাদার সংগঠন কনসালটেটিভ কমিটি অব প্ল্যান্টেশন অ্যাসোসিয়েশনের (সিসিপিএ) নেতৃত্বে বাগানের মালিক ও শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। বোনাস বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বাগানের ৩৬টি শ্রমিক সংগঠনকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে এবার এখনও পর্যন্ত ডুয়ার্সে চা পাতা উৎপাদনে ঘাটতির পরিমাণ ২০ শতাংশের বেশি। বছর শেষে ঘাটতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা বলা যাচ্ছে না বলে দাবি ইন্ডিয়ান টি প্ল্যানটার্স অ্যাসোসিয়েশনের মুখ্য উপদেষ্টা অমৃতাংশু চক্রবর্তীর। শুক্রবার তিনি বলেন, একে তো বাগানে কাঁচা পাতার উৎপাদন কম। তার উপর যতটুকু চা উৎপাদন হচ্ছে, তার সবটা বিক্রি হচ্ছে না। নিলামে সিটিসি চায়ের দামে ধস নেমেছে। এমনিতেই দেশে উৎপাদন হওয়া চা বিক্রি হচ্ছে না। তার উপর কেনিয়া থেকে প্রচুর চা আমদানি হচ্ছে। ফলে চা শিল্প আরও সঙ্কটে।
যদিও ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে সরব চা শ্রমিকদের যৌথ মঞ্চ জয়েন্ট ফোরাম। গতবার ডুয়ার্সে ১৬ শতাংশ বোনাস হয়েছিল চা শ্রমিকদের। এবার ২০ শতাংশের কম দেওয়া চলবে না বলে দাবি তুলেছে জয়েন্ট ফোরাম। এই দাবিতে তারা বাগানে বাগানে গেট মিটিং করছে। এদিন জলপাইগুড়িতে আইটিপিএ অফিসে এনিয়ে স্মারকলিপি দেয় তারা।
বাগান মালিকদের অবশ্য বক্তব্য, বাস্তব পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে আলোচনার ভিত্তিতে বোনাস চূড়ান্ত হবে। তাঁদের দাবি, ফার্স্ট ফ্লাশের চা গতবার পাওয়া যায়নি। এবারও যতটা পাওয়ার কথা মেলেনি। দেরিতে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় রেন ফ্লাশের চায়ের উৎপাদন মার খেয়েছে। এখন পুজো ফ্লাশের চা কেমন পাওয়া যায় সেটাই দেখার। কারণ এখন বৃষ্টি চললেও বাগানে এবার রোগপোকার দাপট অনেক বেশি।
তৃণমূলের চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান নকুল সোনার বলেন, চা বাগানের উন্নয়নে টি বোর্ড তাদের দায়িত্ব পালন করছে না। চা শ্রমিকদের উন্নয়নে রাজ্য সরকার কাজ করে চলেছে। বাগান মালিকদের একাংশের মধ্যে দায়সারা মনোভাব চলে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা যতটা বেশি পরিমাণে পারব, এবার বোনাস আদায়ের চেষ্টা করব। - নিজস্ব চিত্র