নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: চা বাগান অধ্যুষিত নাগরাকাটা এলাকায় বাড়ছে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া। এনিয়ে শুক্রবার জেলা প্রশাসনের রিভিউ বৈঠকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হল ওই ব্লকের স্বাস্থ্যকর্মীদের। ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রুখতে তাঁদের ‘অল আউট’ অভিযানে ঝাঁপাতে বলা হয়েছে। চলতি বছরে জলপাইগুড়ি জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিনশোর ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, এদিন পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ২৯৭। এর মধ্যে নাগরাকাটা ব্লকে চলতি মরশুমে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৮৬ জন। দোসর হিসেবে জেলায় চোখ রাঙাচ্ছে ম্যালেরিয়া। ইতিমধ্যেই সংখ্যাটা সেঞ্চুরির দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে। বর্ষার মরশুমে মশাবাহিত এই দুই রোগের প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় আশঙ্কা। ফলে মশার দাপট কমাতে এলাকায় যাতে কোথাও জল জমে না থাকে, তা নিশ্চিত করার পাশাপশি জ্বরের রোগী খুঁজে বের করে রক্ত পরীক্ষায় জোর দিতে এদিনের বৈঠকে স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকে কিছুটা হলেও ডেঙ্গু আটকানো সম্ভব হয়েছে। এদিন পর্যন্ত সংখ্যাটা ৪৪। ধূপগুড়িতে ১৯ জন এবং বানারহাটে ডেঙ্গু আক্রান্ত ছ’জন। জলপাইগুড়ি শহরে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১৩ জন। সদর ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রীতম বসু বলেন, আমাদের ব্লকে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া পরীক্ষা হচ্ছে। ডেঙ্গু দমন অভিযানে সাফল্য মেলায় আক্রান্তের সংখ্যাটা বেঁধে রাখতে পেরেছি আমরা। ডেঙ্গু দমনে ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি জেলায় প্রায় ১৯ লক্ষ গাপ্পি মাছ বরাদ্দ হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বিভিন্ন ব্লকে নিকাশি নালায় তা ছাড়া হচ্ছে। এখন ডেঙ্গু দমনে গাপ্পি কতটা কাজে আসে, সেদিকেই তাকিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তারা।