• তৃণমূল কর্মী খুন: মইনুলের পরে পুলিসের জালে ছেলে রুবেলও
    বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মালদহ: তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী আবুল কালাম আজাদ (৩৪) খুন হওয়ার পর থেকেই গ্রেপ্তারি এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছিল অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত ২১ বছরের রুবেল শেখ। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। বৃহস্পতিবার রাতে হুগলি জেলার এক গোপন আস্তানা থেকে থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে ইংলিশবাজার থানার পুলিস। শুক্রবার তাকে আদালতে পেশ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে ইংলিশবাজার থানার পুলিস। ইতিমধ্যেই ঘটনার আরেক মূল অভিযুক্ত রুবেলের বাবা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য মইনুল শেখ সহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। দুই দফায় হেফাজতে নিতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদও সেরে ফেলা হয়েছে।

    জেলা পুলিসের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, রুবেল শেখ খুনের পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় থাকার পর সে আশ্রয় নেয় জমি ব্যবসার এক অংশীদারের হুগলির বাড়িতে। সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার রাতে নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিস। ওই বাড়িতে পুলিস অভিযান চালাতে প্রথমে হতভম্ব হয়ে গিয়েছিল রুবেল। সে ভাবতেও পারেনি তার গোপন আস্তানার খোঁজ পেয়ে গিয়েছে পুলিস।

    জেলা পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারত ছেড়ে দ্রুত বাংলাদেশে পালানোর ছকও কষে ফেলেছিল রুবেল। এমনকী পালানোর রেইকিও সেরে ফেলেছিল সে। তার আগেই ধরা পড়ে যায় পুলিসের হাতে।

    প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে জমি ব্যবসা নিয়ে মইনুলের সঙ্গে আবুল কালাম আজাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ক্রমশ শত্রুতায় পরিণত হয়েছিল। আগুনে ঘি পড়ে আজাদ রুবেলের এক বান্ধবীকে সম্প্রতি গোপনে বিয়ে করার পর। খুনের দিন জন্মদিনের পার্টিতে আজাদ তার বান্ধবীকে নিয়ে হাজির হয়েছে জেনেই প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল রুবেল। তারপরেই খুনের ঘটনা বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)