• ক্যানিং-চন্দ্রকলির চার হাত এক হল কর্ণজোড়ার সূর্যোদয় হোমে
    বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৫
  • নির্মাল্য সেনগুপ্ত  রায়গঞ্জ

    দু’জনেই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। একই হোমে থাকা। বড় হওয়া। এবার পরিণয় সূত্রে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করল রাজ্যের একমাত্র মূক ও বধিরদের হোম সূর্যোদয়ের দুই আবাসিক। কর্ণজোড়ার এই হোমেই দীর্ঘ বছর ধরে ছিলেন ক্যানিং পান্থ (৩০) এবং চন্দ্রকলি পান্থ (২১)। দু’জনের সম্মতিতে শুক্রবার চার হাত এক হওয়ায় আয়োজনে কোনও খামতি রাখল না হোম কর্তৃপক্ষ। আইবুড়ো ভাত থেকে অধিবাস, গায়ে হলুদের পর ব্যান্ডপার্টি সহযোগে সানাই বাজিয়ে মন্দিরে মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে দুই আবাসিকের বিয়ে সম্পন্ন হল। ছিল শতাধিক জনের প্রীতিভোজের আয়োজন। বর ও কনেপক্ষ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খোদ জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মীনা, হোম কর্তৃপক্ষ সহ জেলা প্রশাসনের অন্য আধিকারিক ও কর্মীরা। এই বিয়ে উপলক্ষ্যে ২৫ আগস্ট হোমেই হবে রিসেপশন।  কয়েকদিন ধরেই ক্যানিং ও চন্দ্রকলির বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। হোমের প্রিন্সিপাল পার্থসারথী দাসের বক্তব্য,  বিয়ের রীতি মেনে বৃহস্পতিবার আইবুড়ো ভাতের আয়োজন করি। ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) মানস মণ্ডল, ডিপিও আইসিডিএস, ডিএসডব্লিউ, সিডব্লিউসি ও ডিসিপিইউ এবং হোমের কর্মীরা। শুক্রবার ভোরে চন্দ্রকলির অধিবাস হয়। দুপুরে ছিল গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। শেষে বিউটিশিয়ানের কাছে সাজগোজ করে এদিন বিকেলে মোটর কালীবাড়িতে বিয়ে হয়। হোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৯৯৯ সালে ক্যানিং স্টেশন থেকে উদ্ধার হয়ে পাঁচ-ছয় বছরের ক্যানিং পান্থের (হোম কর্তৃপক্ষের দেওয়া নাম) স্থান হয় সূর্যোদয়ে। সেখানকার নিরাপত্তা কর্মী হিসেবেই তিনি কর্মরত। হোমের কাছে হাটখোলায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন ক্যানিং। সেখানে তাঁর সঙ্গে এবার থাকবেন চন্দ্রকলি। অন্যদিকে, ২০১৩ সালে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বালিকা ভবন নামে একটি হোম থেকে চন্দ্রকলিকে সূর্যোদয়ে এনে রাখা হয়। তিনি হোমের পাশে একটি হোটেলে রান্নার কাজ করেন। এক হাজার টাকা করে রাজ্য সরকারের মানবিক ভাতা পান দু’জনেই। এই বিয়ে উপলক্ষ্যে চন্দ্রকলি পেয়েছেন রাজ্যের রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধাও।  নিজস্ব চিত্র 
  • Link to this news (বর্তমান)