সেমেস্টার পদ্ধতিতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক শিলিগুড়িতে
বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: গোটা দেশে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন করা হয়েছে। তাতে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দু’টি সেমেস্টারে নতুন পদ্ধতিতে হতে চলেছে। প্রথম সেমেস্টার ৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর হবে। নতুন পদ্ধতিতে কীভাবে পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে, কী কী আয়োজন দরকার তা নিয়েই শুক্রবার শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলাকে নিয়ে বৈঠক করলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। নতুন ব্যবস্থায় প্রথম সেমেস্টার ওএমআর ভিত্তিক হবে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এতদিন যে ধরনের নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয়গুলি দেখা হতো সে সবই প্রথম সেমেস্টারে থাকবে বলে এদিন জানান চিরঞ্জীববাবু। তিনি বলেন, প্রথম সেমেস্টার ৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হওয়ায় বেশকিছু বাড়তি সতর্কতা ও ব্যবস্থার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এই সময় আমাদের এখানে বর্ষা থাকবে। ফলে পরীক্ষা গ্রহণ কেন্দ্রগুলি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্লাবিত এলাকা বা জল ওঠে এমন স্কুলকে বাদ দিতে হবে। সবথেকে বড় সমস্যা হতে পারে বনাঞ্চলের পরীক্ষার্থীদের নিয়ে। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের বনগুলি বন্ধ থাকে। বনাঞ্চলের ছেলেমেয়েরা বনের মধ্যদিয়ে সহজ সংক্ষিপ্ত পথে যাতায়াত করে। বন বন্ধ থাকলেও সেই পথ দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তাদের যাতায়াতের সুযোগ দিতে হবে। প্রয়োজনে তাদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করতে হবে। এদিন শিলিগুড়ি দীনবন্ধু মঞ্চের এই বৈঠকে প্রত্যেকটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা, জেল প্রশাসনের আধিকারিক ও বনদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এদিনের বৈঠকে স্কুলের প্রতিনিধিদের কাছে নতুন পদ্ধতিতে গোটা পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বোঝানো হয়েছে। প্রশাসনিক কর্তাদের জানানো হয়েছে, এই নতুন ব্যবস্থার পরীক্ষার ক্ষেত্রে কী ধরনের প্রশাসনিক সহযোগিতা ও উদ্যোগের প্রয়োজন রয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান বলেন, আগের নিয়মে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পরীক্ষাকেন্দ্রে ও পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে যে যে নিরাপত্তা ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতো সেমেস্টার পরীক্ষাতেও সেই সব ব্যবস্থা বহাল থাকবে। প্রথম সেমেস্টার বর্ষাকালে হওয়ায় পাহাড়ি এলাকার পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও আমাদের বাড়তি নজর রাখতে হবে। এই সময় প্রবল বৃষ্টিতে পাহাড়ে ধসের সম্ভাবনা থাকে। কাজেই ধসে পরীক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, যদি কোথাও ধস নামে তাহলে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তা সরিয়ে পরীক্ষা ব্যবস্থাকে সচল রাখার ব্যবস্থা করতে হবে জেলা প্রশাসনকে। সেজন্য আগাম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে রাখতে হবে।