খেমচির চরের অবৈধ নির্মাণ পরিদর্শনে জনপ্রতিনিধিরা, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে হবে থানায় অভিযোগ
বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: মেচির শাখা খেমচি নদীর চরে অবৈধ নির্মাণ খতিয়ে দেখলেন নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আনন্দ ঘোষ। শুক্রবার মণিরামের পাতারামজোতে জনপ্রতিনিধিদের একটি দল এলাকা পরিদর্শন করে। তাঁরা অবৈধ নির্মাণ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি জমি মাফিয়াদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, এলাকায় আদিবাসী কৃষকদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক একর জমির উপর প্লটিং করেছে জমি মাফিয়ারা। যাতে সহজেই জমিতে যাওয়া যায় তারজন্য নদীর উপর হিউমপাইপ বসিয়ে কালভার্টও বানানো হয়েছে। পাশাপাশি চরের সরকারি জমিতেও প্লটিং করতে গিয়ে নদীর গতিপথ পরিবর্তন করে তোলা হয়েছে গার্ডওয়াল। গত বুধবার ‘বর্তমান’-এ এই সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসেছে ব্লক প্রশাসন। নকশালবাড়ি বিএলআরও দীপাঞ্জন মজুমদার ইতিমধ্যেই ভূমিদপ্তরের কর্মীদের নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করে গিয়েছেন। এদিন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আনন্দ ঘোষ আসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ পদ্মা রায়, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ পৃথ্বীশ রায় সহ মণিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌতম ঘোষ, উপপ্রধান রঞ্জন চিকবাড়াইক। এনিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, অবৈধভাবে কালভার্ট তৈরি করে সংলগ্ন জমি বিক্রির চেষ্টা চলছে। সরকারি জমিও দখল হয়েছে। এলাকা পরিদর্শন করলাম। আগামী বুধবার বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির বৈঠকে এ ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। ভূমিদপ্তর থেকে জমির অবস্থান বুঝে সরকারি জমি উদ্ধার করা হবে। অভিযুক্ত জমি মাফিয়াদের নাম ধরে ধরে থানায় এফআইআর করা হবে। তাঁর সংযোজন, দিন কয়েক আগেই আমরা মণিরামের সুরজবরে সরকারি জমি দখলমুক্ত করেছি।
উল্লেখ্য, বছর খানেক আগে নকশালবাড়ি হাতিঘিষার সেবদেল্লাজোতের সরকারি জমির জাল দলিল বানিয়ে বিক্রির বিষয়টি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে এনেছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আসরাফ আনসারি। এরপর ভূমিদপ্তরের বিশেষ সচিব ওই ঘটনার তদন্ত করেছিলেন। জল অনকে দূর গড়ানোয় পরবর্তীতে নকশালবাড়ির বিএলআরও সহ রাজস্ব আধিকারিক ও ক্লার্কদের রদবদল করা হয়। হাতিঘিষার পর এবার মণিরাম পঞ্চায়েতে নজর পড়েছে জমি মাফিয়াদের।পাতারামজোতে পরিদর্শনে জনপ্রতিনিধিদের দল। - নিজস্ব চিত্র