ফাইনান্স কোম্পানির অফিসার পরিচয় দিয়ে গাড়ি হাইজ্যাক, ব্যান্ডেল থেকে গ্রেপ্তার ২
বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, কাটোয়া: ভালো স্যুট, দামি জামা পড়ে নিজেদের ফাইনান্স কোম্পানির অফিসার বলে পরিচয় দিত। দামি গাড়ি ভাড়া নিয়ে অপারেশনে নামত তারা। কাজ ছিল চারচাকা গাড়ি হাইজ্যাক করে নম্বর প্লেট বদলে বিক্রি করে দেওয়া। গুসকরা শহরে নিজেদের ফাইনান্স কোম্পানির অফিসার পরিচয় দিয়ে একটি চারচাকা গাড়ি নিয়ে চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তদন্তে নেমে দুই দুষ্কৃতীকে বৃহস্পতিবার রাতে ব্যান্ডেল থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। উদ্ধার করা হয়েছে হাইজ্যাক করা গাড়িটি। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতদের নাম আক্কাশ আলি ও সাবির মল্লিক। আক্কাশের বাড়ি আরামবাগ এলাকায়। আর সাবিরের বাড়ি ভাতার থানা এলাকায়। শুক্রবার তাদের বর্ধমান আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচ দিন পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বুধবার বিকেলে মঙ্গলকোটের ন’পাড়া গ্রামের বাসিন্দা শেখ মনিরুল তাঁর বন্ধু শেখ রিপন মল্লিককে নিয়ে কাজে গুসকরা শহরে যান। সেখানে তাঁরা এক জায়গায় গাড়িটি রেখেছিলেন। গাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে ছিলেন শেখ রিপন। এরপরেই অন্য একটি চারচাকা গাড়িতে কয়েকজন আসে। তারা নিজেদের ফাইনান্স কোম্পানির অফিসার পরিচয় দেয়। তারা শেখ রিপনকে বলে গাড়িত লোন বকেয়া রয়েছে। সেজন্য গাড়ি নিয়ে চলে যাবে।এরপর তারা গাড়িটি নিয়ে বর্ধমানের দিকে চলে যায়।
এরপর গাড়ির মালিক মনিরুল সাহেব এসে বন্ধুর কাছ থেকে সমস্ত ঘটনা শোনেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি আউশগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে, দুষ্কৃতীরা যে গাড়ি নিয়ে এসেছিল সেটি ভাড়া করা। ওই গাড়ির মালিকের বাড়ি ব্যান্ডেলে। দুষ্কৃতীরা ব্যান্ডেলে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকে। এরপরউ সেখান থেকে দু’জনকে ধরে পুলিস।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা গাড়ি হাইজ্যাক করার একটি গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত। এদের বিরুদ্ধে রাজ্যের বেশ কয়েকটি থানায় একই কায়দায় গাড়ি হাইজ্যাকের অভিযোগ রয়েছে। এরা মূলত যে সমস্ত চারচাকা গাড়ির লোনের টাকা বকেয়া রয়েছে, সেই সমস্ত গাড়ির তথ্য সংগ্রহ করে। তারপর রীতিমতো রেইকি করেই অপারেশনে নামে। আউশগ্রাম থানার পুলিস গোটা চক্রের সন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে।