• রাখি পরিয়ে বাংলাভাষাকে অপমানের প্রতিবাদ
    বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: রবীন্দ্রনাথ ১৯০৫ সালে রাখি পরিয়ে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। শুক্রবার রামপুরহাটে সেই রাখিবন্ধন করেই বাঙালি ও বাংলাভাষার অপমানের প্রতিবাদে সরব হলেন চিকিৎসক ও সরকারী কর্মীরা। 

    অনুপ্রবেশকারী ধরার নামে ভিনরাজ্যে বাঙালিদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে। অপমান করা হচ্ছে বাংলা ভাষাকেও। বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশি তকমা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বাংলা ভাষার অধিকার নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনই তিনি ফের ভাষা আন্দোলনের ডাক দেন। 

    এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে রাখিবন্ধন করলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন (স্বাস্থ্য শাখা) ও প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে। ফেডারেশনের ব্যানারে লেখা, ‘বাংলা ভাষা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সম্প্রীতি ও একতার শপথে রাখী বন্ধন উৎসব’। রামপুরহাট মেডিক্যালে পরিষেবা নিতে আসা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের হাতে রাখি পরিয়ে মিষ্টিমুখ করান চিকিৎসক থেকে কর্মচারীরা। ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা মুমূর্ষু রোগীদের হাতেও রাখি পরিয়ে দেন তাঁরা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেডিক্যালের অধ্যক্ষ তথা প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদিকা করবী বড়াল, কর্মচারী ফেডারেশনের রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার সভাপতি শিবদাস মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। শিবদাসবাবু বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের উপর নির্যাতন ও বাংলা ভাষাকে অপমান করা হচ্ছে। রাখিবন্ধন উৎসব পালনের মাধ্যমে তার প্রতিবাদ জানাতে সংগঠিত হয়েছি। 

    অধ্যক্ষ বলেন, যার জন্য বিখ্যাত এই লালমাটির দেশ, সেই কবিগুরু রাখিবন্ধন উৎসবের ধারক ও বাহক। জাতীয় সংগীতের রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বন্দে মাতরম ধ্বনির যিনি সৃষ্টিকর্তা তাঁরাও বাঙালি ছিলেন। 

    ভারতবর্ষের স্বাধীনতা লাভের পিছনে বাঙালির অবদান বিরাট। কিন্তু বাংলা ভাষা ও বাঙালিদের অপমান করা হচ্ছে। তাই রাখিবন্ধন উৎসবের মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলনে শামিল হয়েছি। আগামীদিনেও এই আন্দোলন চলবে। সব সময়ে আমরা বাঙালির সৃষ্টি ও সংস্কৃতির সঙ্গে থাকব। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)