• নিকাশি নালা বোজানোয় জমছে জল, চরম দুর্ভোগ
    বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া ও সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: বৃষ্টির জমা জলে বেহাল ডোমজুড়ের বেগড়ি পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। আশপাশে গজিয়ে ওঠা একাধিক কল-কারখানা, ক্রমশ বুজতে থাকা খাল সহ একাধিক কারণে জমা জল সরছে না বলে অভিযোগ। ফলে বাড়ছে সাপের উপদ্রব। বাধ্য হয়ে শুক্রবার বিপ্রন্নপাড়ায় ধুলোগড়-ডোমজুড় রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশো বাসিন্দা। ডোমজুড় থানার পুলিস গিয়ে বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। অবশেষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসে বিক্ষোভ তোলেন বাসিন্দারা। এদিকে, একটানা ভারী বৃষ্টি, ডিভিসির ছাড়া জল এবং পূর্ণিমার কোটালে জলমগ্ন হয়েছে আমতা ২ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। চাষের জমি, রাস্তাঘাট জলমগ্ন হওয়ার পাশাপাশি একাধিক প্রাথমিক স্কুল, শিশু শিক্ষা কেন্দ্রেও জল ঢুকেছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, একটানা বৃষ্টিতে আমতা ২ নম্বর ব্লকের বাইনান, কুশবেড়িয়া, তাজপুর, থলিয়া, ঝামাটিয়া সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের নিচু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ডিভিসি ক্রমাগত জল ছাড়ায় নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। যেকারণে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে। এর মধ্যে পূর্ণিমার কোটালে দ্বীপাঞ্চল ভাটোরার রাস্তাঘাট ডুবতে শুরু করেছে। বেগড়ির বাসিন্দাদের দাবি, ফি বর্ষাতেই জমা জলের সমস্যা ভোগ করতে হচ্ছে তাঁদের। সামান্য বৃষ্টি হলেই জল জমছে এলাকায়। বৃষ্টির মাত্রা বাড়লে রীতিমতো বানভাসি অবস্থা হয়। হাঁটুসমান জল পেরিয়ে স্কুল, অফিস, বাজারে যেতে হচ্ছে। অভিযোগ, আগে এলাকায় দু’টি নিকাশি নালা ছিল। সংস্কারের অভাবে একটি প্রায় বুজে গিয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে অন্য নালাটিও জল ধারণ করতে পারছে না। এদিকে, জ্বালান কমপ্লেক্সের ভিতরে গত কয়েক বছরে গজিয়ে উঠেছে ছোট-বড় অসংখ্য কারখানা। নিকাশির পরিকল্পনা ছাড়াই সেগুলি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। সে কারণেই বাড়ছে জমা জলের সমস্যা। মহিলা বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘পোকামাকড়, সাপের উপদ্রব বাড়ছে। সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে যাওয়া যাচ্ছে না। প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক’।

    বিক্ষোভের জেরে এদিন প্রায় ঘণ্টাখানেক ধুলোগড়-ডোমজুড় রোডে তীব্র যানজট তৈরি হয়। পুলিসের সঙ্গে ঘটনাস্থলে যান ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর চট্টোপাধ্যায় এবং বেগড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান দেবাশিস ঘোষ। সুবীরবাবু বলেন, ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন জমিতে গড়ে ওঠা জ্বালান কমপ্লেক্স আরে বহরে বেড়েই চলেছে। আমরা দু’মাস আগে বিভিন্ন কারখানার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলাম। লাভ হয়নি। তবে দ্রুত স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা চলছে’। পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, পাম্প চালিয়ে জল বের করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কারখানাগুলিকে। 

    এদিন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল সেচদপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের জলমগ্ন এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, নদীতে জলস্তর বৃদ্ধির কারণে স্লুইস গেট খুলতে না পারায় রাস্তাঘাট থেকে স্কুল, আইসিডিএস সেন্টারগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)