• কন্যাহারা মা-বাবার শোকের ১ বছর, রাজপথে হাজার কণ্ঠ জানতে চায়, ‘বিচার আর কবে?’
    প্রতিদিন | ০৯ আগস্ট ২০২৫
  • অভিশপ্ত সেই ৮ আগস্ট। আর জি কর হাসপাতালে  ধর্ষণ করে খুন করা হয় তরুণী চিকিৎসককে। খুনি সঞ্জয় রায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। সেই ঘটনার বর্ষপূর্তিতে রাত দখলের ডাক দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট‘ (WBJDF)। রাত ৯টায় কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু মশাল মিছিল। গন্তব্য শ্যামবাজার। ভোর চারটে পর্যন্ত এই কর্মসূচি। শ্যামবাজারেই অবস্থান। শনিবার রাখি বন্ধন কর্মসূচি।  রাত দখলের প্রতিটি মুহূর্তের খুঁটিনাটির  লাইভ আপডেট সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-এ।

    রাত ১.০৫: অভয়ার মা বলেন, “আর জি করের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে অপরাধীরা। চেস্ট মেডিসিনের কয়েকজন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এই রাত দখলে রাত দখলের কেউ নেই। কেন নেই তাদের কেউ? চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রধানের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সঞ্জীব ঘোষ কিছু না জানলে কেন দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হল। তোতাপাখির মতো সিবিআইকে পড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, সঞ্জয় ছাড়া কেউ নেই। সেটাই বলা হচ্ছে। কারা আমার মেয়েকে মারল এই রহস্য যতদিন না উদ্ঘাটন হচ্ছে ততদিন আমরা লড়াই ছাড়ব না।” মুখ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি অভয়ার মায়ের।

    রাত ১২.৫০: সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে অভয়ার বাবা বলেন, “সিবিআই বলছে ৪ দিন পর আমরা মামলা পেয়েছি। ৪ দিনে সব প্রমাণ ধুয়ে মুছে দেওয়া হয়েছে। গত পরশু আমরা দিল্লি ও গতকাল সিবিআই অফিসে গিয়েছিলাম। ওরা ৯৩টা ফরেনসিক রিপোর্ট দিয়েছিল। এই ৯৩টা রিপোর্টে কী তথ্য লুকিয়ে রয়েছে তাঁরা সব জানেন। তবে তাঁরা চোখ বন্ধ করে আছেন। কিছু বলবেন না। সিবিআই ডিরেক্টর বলছেন, আমরা মামলা ছেড়ে দেব। সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কেউ যুক্ত নন, এই কথাটা গেলানোর চেষ্টা করছে। কোথাও আঁতাত রয়েছে এটা স্পষ্ট।” কলকাতা পুলিশকে তোপ দেগে বলেন, “এদের কথা যত কম বলা যায় তত ভালো। এই পুলিশ প্রশাসন তৃণমূলের দলদাস ছাড়া কিছু নয়। সিবিআই বিক্রি হয়নি, এই গ্যারান্টি দিতে পারব না।”

    রাত ১১টা ৩০: প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়েছেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত। অভয়ার বিচার চেয়ে পথে রেডিও জকি অগ্নি।

    রাত ১১টা ২০: আর জি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে মেদিনীপুর শহরে বামপন্থী সংগঠনগুলির যৌথ মিছিল।

    রাত ১১টা ১০: আরজি কর-কাণ্ডে বিচারের দাবিতে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেওয়াল লিখে প্রতিবাদ জুনিয়র চিকিৎসকদের।

    রাত ১১টা: মিছিল থেকে এদিন অনিকেত মাহাতো বলেন, “বলা হচ্ছে সঞ্জয় রায়ের শাস্তি হয়েছে বিচার হয়ে গিয়েছে। আমরা বিচার চাইছি। আমাদের দাবি রয়েছে। তা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।” অন্যদিকে, জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আদালতের রাতে অভয়ার খুনি সঞ্জয় রায় শাস্তি পেয়েছে। কলকাতা পুলিশের তদন্তে শিলমোহর দিয়েছে সিবিআই। তারপর এই আন্দোলন কি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ করতেই? অভয়াকে হাতিয়ার করে শাসকদলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে রাম-বাম শক্তি? মিটিং-মিছিলের নেপথ্যে রাজ্যকে অস্থির করার ফন্দি আঁটছে অতিবাম শক্তিগুলি?

    রাত ১০.২০: আর জি কর আন্দোলনের অন্যতম মুখ আসফাকুল্লা নাইয়া মশাল হাতে বলেন, “এই আন্দোলন চলবে। মানুষ ভোলেনি।” 

    রাত ১০.১৫: রাজপথে উঠল বিচারহীন একবছর স্লোগান। অভয়ার মা বলছেন, এই আন্দোলন আরও জোরদার করতে হবে। মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ। শহরতলী এবং জেলাতেও পথে নামল মানুষ।

    রাত ৯.১৫: এদিনের মিছিলে অবশ্য যোগ দেননি রিক্লেম দ্য নাইট বা রাত দখলের হোতা রিমঝিম সিংহ। তিনি জানিয়েছেন, ১৪ আগস্ট নাগরিক সমাজের প্রতিবাদী কর্মসূচিতে থাকবেন। যদিও মিছিলে রয়েছেন জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্য দেবাশিস হালদার, অনিকেত মাহাতো ও আসফাকুল্লা নাইয়া।

    রাত ৯.০৫: অভয়ার বিচার চেয়ে শুক্রবার রাত দখলে নামল ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফোরাম’। রাত ৯টায় কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয়েছে মিছিল। অভয়ার বিচারের দাবিতে ব্যানার, জাতীয় পতাকা হাতে স্লোগান দিতে দেখা যায় প্রতিবাদীদের। মশাল হাতেও পথে নামেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)