‘কথা ছিল হেঁটে যাব ছায়াপথ...’, না, সে কথা রাখা হয়নি। বরং এক বছর আগে একটা ফোন বয়ে নিয়ে এসেছিল সব শেষের খবর। দুঃস্বপ্নের সেই রাত যেন আজও শেষ হয়নি, অভয়ার বিশেষ বন্ধুর জন্য। অভয়ার বাবা-মায়ের সঙ্গে সঙ্গে থমকে গিয়েছে তাঁর জীবনও।
ন্যায়বিচারের দাবিতে রাত দখলের মঞ্চ থেকে সেই ছেলেটির উল্লেখ করে সরব হলেন অভয়ার মা। তিনি এ দিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘কী দোষ ছিল ওই ছেলেটার বলতে পারেন। ওঁর জীবনটাও আমাদের মতোই হয়ে গিয়েছে। ’
নামের পাশে ডাঃ তকমাটা বসার অনেকটা আগে থেকেই নাকি নিজেদের ‘লাল-নীল’ সংসারের শব্দ বুনতেন দু’জনে। কিন্তু গত ৯ জুনের ফোনটায় জীবনটাই উল্টে পাল্টে গিয়েছে আরও এক প্রতিভাবান চিকিৎসকের। অভয়ার মা এদিন বলেন, ‘ছেলেটা বলে বাড়ি থেকে বেরোই, পেশেন্ট দেখি, আবার বাড়ি ফিরে আসি। কিছু ভালো লাগে না। পেশেন্ট দেখেই সব ভুলে থাকতে চাই। এ বার সাইক্রিয়াট্রিতে গোল্ড মেডেল পেয়েছে জানেন। কিন্তু এই আনন্দের মুহূর্তেও ভেঙে পড়েছে।’
জানা গিয়েছে, গত কয়েকমাস ধরে অবসাদে ভুগছেন ওই চিকিৎসক। সব ভুলতে কাজেই শান্তি খোঁজা অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভয়ার মায়ের মতে, এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না। এত অন্যায়ের মাঝে দোষীর শাস্তি হলে অন্তত মানসিক ক্ষতে খানিক প্রলেপ পড়ত বলে দাবি আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় ধর্ষিতা ও খুন হওয়া চিকিৎসকের মা।