• বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা, সতর্ক করছেন অমর্ত্য
    আনন্দবাজার | ০৯ আগস্ট ২০২৫
  • ভোটার তালিকা যথাযথ ভাবে তৈরি করা ভাল অনুশীলন হতে পারে। তবে, যদি তাড়াহুড়ো করে বর্তমান তালিকা থেকে নাম অপসারণের চেষ্টা করা হয়, তার, ফলাফল খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বলেই মনে করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। যদিও শুক্রবার, বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শান্তিনিকেতনে এসে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের আশ্বাস, ভয় পাওয়ার কারণ নেই।

    বিহারে বিশেষ নিবিড় সংশোধনের পরে (এসআইআর) পয়লা অগস্ট প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে প্রায় ৬৫ লক্ষ নাম বাদ গিয়েছে। ভুল সংশোধনের জন্য এক মাস সময় দেওয়া হয়েছে। তবে পুরো প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। সংসদের বাদল অধিবেশনে এ নিয়ে আলোচনা চেয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিরোধী দলগুলি।

    এরই মাঝে শান্তিনিকেতন থেকে সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেন জানিয়েছেন, ভোটার তালিকার তড়িঘড়ি সংশোধনে বড়সড় ভুল থেকে যেতে পারে। দেশের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। কারণ, তাঁদের পক্ষে চটজলদি নথি জোগাড় করা কঠিন। অমর্ত্যের মতে, “যদি বিদ্যমান তালিকার ভুল সংশোধনের তাড়াহুড়োতে আরও ভুল ঢুকে পড়ে, তবে ফল ভয়ঙ্কর হতে পারে।”

    বিরোধীরা নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ হলেও অমর্ত্যের পরামর্শ, যথেষ্ট সময় ও সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে তা করা দরকার। তিনি সুপ্রিম কোর্টকে প্রক্রিয়াটিকে সক্রিয় ভাবে নজরদারি করে নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করারকথা বলেন।

    অন্য দিকে সুকান্তের মতে, অনুপ্রবেশকারী ও বাংলাদেশিদের নাম ভোটার তালিকায় রেখে দিতেই বিরোধিতা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশি আর বাঙালি আলাদা করতে গিয়ে ভারতীয় বাঙালির নাম হঠাৎ করে চলে আসতে পারে। কিন্তু তাঁদের বাঁচানোর দায়িত্ব আমাদের।’’ তাঁর আশ্বাস, ‘‘যাঁরা ভারতীয় মুসলমান, তাঁরা ভারতবর্ষেই থাকবেন।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)