পিয়ালি মিত্র: বাংলাদেশি অভিনেত্রী শান্তা পালের (Shanta Paul) জাল আধার কাণ্ডে বড় আপডেট (Fake Aadhaar)। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ করে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়েই রীতিমত রমরমিয়ে চলছিল ভুয়ো পরিচয় পত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন জাল নথি তৈরির কারবার। ভুয়ো আধার, ভোটার, রেশন কার্ড তৈরি জন্য ছিল পৃথক পৃথক রেট চার্টও ((Fake Aadhaar Rate Chart)।
ভুয়ো পরিচয় পত্রের রেট চার্ট!
৫ থেকে ১০ হাজার! ভুয়ো আধার, ভোটার, রেশন কার্ড তৈরি জন্য ছিল পৃথক পৃথক রেট চার্ট। এক একটা জাল নথির জন্য দাম এক-একরকম। বাংলাদেশি নাগরিক হোক কিংবা অন্য কেউ, রেট চার্ট অনুযায়ী টাকা দিলেই কেল্লা ফতে! কাজ হাসিল! ঘরে বসেই হাতে পেয়ে যাওয়া যেত জাল নথি। লালবাজার সূত্রে খবর, টাকার লেনদেন থেকে নথি পৌঁছে দেওয়া, সব কিছুই চলতো অনলাইনে। হোয়াটসঅ্যাপে ছবি ও ডিজিটাল সই পাঠিয়ে দিতে হতে সৌমিককে। তা দিয়েই সে বানিয়ে ফেলত জাল নথি।
শান্তা-সৌমিক লিংক আপ!
বাংলাদেশী অভিনেত্রী শান্তা পালকে জাল নথি তৈরিতে সহযোগিতা করার অভিযোগে নৈহাটি থেকে ধৃত সৌমিক দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেয়েছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই জেরক্সের দোকানের আড়ালে চলছিল ভুয়ো পরিচয় পত্র থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের জাল নথি তৈরির কারবার। এই কারবার করে সৌমিক দত্ত রীতিমতো ফুলেফেঁপেও উঠেছিলেন বলে খবর।
'ভালো ছেলে' সৌমিকের জাল কারবার!
জাল আধার কাণ্ডে সৌমিকের সঙ্গে আরও অনেকে যুক্ত আছে বলেই অনুমান তদন্তকারীদের। নৈহাটি পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের অটল বিহারী সরকার রোডের বাসিন্দা সৌমিক দত্ত দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় জেরক্সের দোকান চালাচ্ছে। এলাকায় 'ভালো ছেলে' বলে পরিচিত সৌমিককে মঙ্গলবার ভোর রাতে জাল নথিকাণ্ডে গ্রেফতার করে পুলিস। ১৮ অগস্ট পর্যন্ত পুলিস হেফাজতেই থাকবে সৌমিক।