পিয়ালি মিত্র: এক সময় পুলিসের গাড়ির চালক থেকে পুলিসের সোর্স ছিল খড়দহের অস্ত্র (Khardah Arms Recovery) কারবারী মধুসূদন। সোমবার তাঁর রহড়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় কার্যত অস্ত্রশস্ত্রের পাহাড়। ধৃতকে জেরায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাঁকে জেরায় পুলিস জেনেছে, ১৯৮০-৯০ দশকে ঘোলা ও খড়দহ থানার পুলিস গাড়ি চালাতো সে। পরবর্তী সেই কাজে ছেড়ে অপরাধ শুরু করে। সূত্রের খবর, ২০০৬ সালে খড়দহ থানার একটি মাদক পাচারের মামলাতে জেল খাটে মধুসূদন।
জেরায় তাঁর দাবি, পরবর্তীকালে সে দীর্ঘদিন ব্যারাকপুর, কলকাতা পুলিস গোয়েন্দা বিভাগের “সোর্স” হিসাবে কাজ করে। জেরায় তাঁর দাবি, ২০১৭ সাল পর্যন্ত পুলিসকে নানা খবরাখবর পৌঁছে দিত সে। আগে পানিহাটি এলাকায় থাকত। রহড়া এলাকায় চলে আসে। ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে কয়েক বছর আগে একটা ফ্ল্যাট কেনে। ধৃতের দাবি, ২০২০ সালে কোভিড সময় তেমন কাজকর্ম না থাকায় বেআইনি অস্ত্রের কারবার শুরু করে।
মধুসূদনের ফ্ল্যাটে মিলেছে ৯১১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ছাড়াও ৫০টি কার্তুজের খোল, ১৬টি খালি ম্যাগাজিন। কিন্তু খালি কার্তুজের রহস্য কী? সেই সূত্রেই উঠে আসছে কোনও ডিলার বা ডিলারের কর্মীদের যোগ থাকার সম্ভাবনা। ধৃতের দাবি, কিছু আর্মস ডিলারের কর্মীদের খালি কার্তুজ সাপ্লাই করত সে, পরিবর্তে নিত তাজা কার্তুজ। চলতি বছরের বিবাদি বাগের একটি অস্ত্র বিপণির দুই কর্মীকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিসের এসটিএফ।
যাঁরা খাতায় কলমে গুলি টেস্ট করা হয়েছে দেখিয়ে বেআইনি অস্ত্র কারবারিদের কাছে বিক্রি করে দিত কার্তুজ। জেরায় ধৃতের দাবি, টেস্টিং করা হয়েছে দেখাতে গেলে কার্তুজের খোলের হিসেব দেখাতে হয়। ফলে সেই কার্তুজের খোল সাপ্লাই দিত সে। তদন্তকারীরা জানান, চেষ্টা করছেন এমন কোনও ডিলার বা ডিলার কর্মীর যোগ আছে কিনা। তাজা কার্তুজ মুঙ্গের থেকে আসত বলে অনুমান, সেই সঙ্গে মধুসূদনকে এই কার্তুজের খোল সাপ্লাই। কারা করতো সেটাও জানার চেষ্টা করছে পুলিস।