• খালের মুখ আটকে তৈরি হয়েছে অস্থায়ী রাস্তা, ক্ষতির মুখে চাষিরা
    বর্তমান | ১০ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বজবজ: বড় খালের মুখ বাঁশ দিয়ে আটকে তার উপর ঝামা ইট ফেলে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী রাস্তা। এর ফলে ৫০ থেকে ৬০ বিঘা জমির আমন ধানের চাষ বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অভিযোগ, বর্ষার জল স্বাভাবিক গতিতে বেরতে পারছে না খাল দিয়ে। ফলে জল থমকে রয়েছে ধান গাছের গোড়ায়। জল বাড়তে বাড়তে এখন ধান গাছের মাথা ছুঁইছুঁই। বজবজের কালীনগর, মহেশ্বরপুর, ঘনশ্যামবাটি, চকেতবাটি, বেতোবাটি গ্রামের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষকদের কথায়, ‘এমনিতে এবার বর্ষা বেশি হয়েছে। তবে এর জন্য আমাদের খুব একটা চিন্তা ছিল না। কারণ,  এই বড় খালটি কয়েক কোটি টাকা খরচ করে সংস্কার করা হয়েছিল। আমাদের মনে হয়েছিল, এবার আর জমিতে জল জমবে না। কিন্তু বজবজ ১ ব্লকের বিবিআইটি স্কুলের কাছে বড় খালের উপর বাঁশ দিয়ে রাস্তা তৈরির ফলে জল যাচ্ছে না। কখনও কখনও জল ব্যাক ফ্লো করছে। এমন চলতে থাকলে ৫০ থেকে ৬০ বিঘে জমির ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে।’ 

    এ ব্যাপারে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই বলেই ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। যদিও ইতিমধ্যে তাঁরা ব্লক সহ প্রশাসনের নানা স্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন। বজবজ ১ নং ব্লকের  সহ সভাপতি নিত্যানন্দ বর্মন বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে কেউ কথা বলেনি। কোনও অনুমতি নেয়নি। সবটাই সরকারি উপরমহল থেকে করা হচ্ছে।’ দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য শঙ্কর সরকার বলেন, ‘বারুইপুরে সরকারি প্রকল্পের জন্য একটি বড় সাইজের ট্রান্সফর্মার অছিপুর থেকে নিয়ে যাওয়া হবে। সেই কারণেই গোবরঝুরির কাছে অস্থায়ী রাস্তা তৈরি হয়েছে। কৃষকেরা মনে করছেন, এর জন্য জল আটকে যাচ্ছে। তা একেবারে ভুল। জল যাওয়ার রাস্তা রেখেই ওই রাস্তা করা হয়েছে। আসলে এবার বৃষ্টি এতটাই হয়েছে যে খালে জল অনেক বেড়ে গিয়েছে। এই জন্য গঙ্গার জলস্তরও অনেকটা উঠে এসেছে। তাই খাল দিয়ে জল যাচ্ছে ধীর গতিতে।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)