পূর্ব রেলের শিয়ালদহ ডিভিশনে বাতানুকূল লোকাল ট্রেনের পরিষেবা শুরু করা নিয়ে প্রায় বছর চারেক ধরে জল্পনা চলছিল। মুম্বইয়ে শহরতলির লোকাল ট্রেনে এই রেকের ব্যবহার শুরু হতেই দ্বিতীয় দাবিদার হিসাবে শিয়ালদহ ডিভিশন এ নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু পরিকাঠামো সংস্কারের একাধিক কাজ সম্পূর্ণ করা ছাড়াও বাতানুকূল লোকাল ট্রেন চড়ার ক্ষেত্রে যাত্রীদের থেকে কেমন সাড়া মিলবে, তা নিয়েও দীর্ঘদিন রেলের অন্দরে সংশয় কাজ করেছে বলে সূত্রের খবর।
শহরতলির মাতৃভূমি লোকাল ট্রেনে এর আগে বেশি ভাড়ায় বিশেষ শ্রেণি চালুর উদ্যোগ সে ভাবে সাড়া জাগাতে পারেনি। তবে, বাতানুকূল ট্রেন নিয়ে বিস্তর ভাবনাচিন্তার পরে রেল বোর্ডের নির্দেশে যাত্রীদের আয়ত্তের মধ্যে ভাড়ার হার রাখা হয়েছে। নতুন ট্রেনের ভাড়া-সহ অন্যান্য বিবরণ ইতিমধ্যেই রেলের মোবাইলে অসংরক্ষিত টিকিট কাটার জন্য ‘ইউ টি এস অন মোবাইল’ অ্যাপে দেখা যাচ্ছে বলে রেল সূত্রের খবর।
তবে, মেট্রোর ধাঁচে একাধিক স্বাচ্ছন্দ্যযুক্ত নতুন ট্রেন পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়টি রেলকে ভাবাচ্ছে। রেলের পক্ষ থেকে রানাঘাট কারশেডে ওই লোকাল ট্রেনের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং ট্রেন পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেন চলার সময়ে ভেস্টিবিউলযুক্ত ট্রেনে রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের কর্মী ছাড়াও একাধিক টিকিট পরীক্ষক থাকবেন বলে সূত্রের খবর।
ওই ট্রেন পরিষ্কার রাখতে যাত্রীদের দিক থেকেও সচেতনতা আশা করছেন রেল কর্তৃপক্ষ। প্রশস্ত জানলা, সিসি ক্যামেরা এবং আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য ‘টক ব্যাক’ প্রযুক্তিযুক্ত ট্রেনে যাত্রীরা সচেতন না হলে ট্রেন পরিচ্ছন্ন রাখা কঠিন হবে বলে জানাচ্ছেন রেলের আধিকারিকদের একটি অংশ।
এই ট্রেন জনপ্রিয় হবে বলে আশা করছেন রেলের আধিকারিকেরা। তা হলে শিয়ালদহ থেকে ব্যারাকপুর, বারাসত ছাড়াও হাওড়া শাখায় হাওড়া-ব্যান্ডেলের মতো একাধিক রুটে ওই ট্রেন চালানোর ভাবনা বিবেচনায় আসতে পারে বলে সূত্রের খবর।