• তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার লাদেন-সহ ‘সাঙ্ঘাতিক সাত’! নরেন্দ্রপুরে পুলিশের দাবি, প্রত্যেকেই কুখ্যাত
    আনন্দবাজার | ১১ আগস্ট ২০২৫
  • দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বনহুগলিতে তৃণমূলকর্মী খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হলেন আরও চার জন। ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাতে। পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার গড়িয়া পাঁচপোতা এলাকা থেকে পিন্টু বাগ নামে এক অভিযুক্তকে পাকড়াও করা হয়েছে।

    তার আগে বনহুগলী এলাকা থেকে ধরা পড়েছেন শ্যামল বিশ্বাস, বিধান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাপ্পা মিস্ত্রি। সাত জনের গ্রেফতারির পরেও এলাকা দখলই খুনের মূল কারণ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। দাবি, তা ছাড়াও খুনের নেপথ্য়ে ছিল পুরনো শত্রুতা।

    গত ৫ জুলাই নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায় উদ্ধার হয় বিষ্ণুপুর থানার বাসিন্দা সুদীপ নাড়ুর ক্ষতবিক্ষত দেহ। এলাকায় তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত তিনি। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ ও জেলা পুলিশের এসওজি খুনের তদন্ত শুরু করে। প্রথমে ধরা পড়েন নরেন্দ্রপুরের নতুনহাট এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত দাস ওরফে লাদেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠে আসে আশাদুল মণ্ডল ওরফে কালোবাবুর নাম। তদন্তকারীরা জানান, পুরনো শত্রুতার কারণে ওই খুন। তা ছাড়াও এলাকার দখল নিয়ে অতীতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল।

    জানা যাচ্ছে, খুনে অভিযুক্ত বাপ্পা কিছু দিন আগে নাড়ুর গোষ্ঠীর হাতে মার খান। তার বদলা নিতে নাড়ুকে খুনের পরিকল্পনা করেন বাপ্পা, লাদেনরা। পুলিশ বলছে, ধৃতেরা সকলেই দাগি আসামি। খুন, ছিনতাই, হামলা-সহ বেশ কিছু মামলায় এঁরা জড়িত ছিলেন। সুশান্ত এবং আশাদুলকে জেরা করে পুলিশ রাজা বণিক নামে এক গাড়িচালকের নাম পান। ওই ব্যক্তি নেতাজিনগরের বাসিন্দা। রাজাকে ধরা হয়েছিল রানাঘাট থেকে। জেরায় ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, খুনের পরে তাঁর গাড়ি করে সুদীপের দেহ নিয়ে গিয়ে রাস্তায় ফেলে দিয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশ মনে করছে, ধৃতদের জেরা করে এই হত্যাকাণ্ডে আরও নতুন তথ্য মিলতে পারে। আরও কেউ জড়িত থাকলে তাঁদের নামও উঠে আসতে পারে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)