কালমাটি অগ্রগামী শিশুশিক্ষা কেন্দ্র, ব্যবহারের অযোগ্য স্কুলবাড়ি, আড়াই কিমি দূরে যেতে হচ্ছে খুদে পড়ুয়াদের
বর্তমান | ১২ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, দিনহাটা: বৃষ্টি ও ঝড়ের ধাক্কায় ভেঙে পড়েছে ২৫ বছরের পুরনো কালমাটি অগ্রগামী শিশুশিক্ষা কেন্দ্র। সংস্কারের অভাবে সেটি এখন অব্যবহারযোগ্য। তাই চলতি শিক্ষাবর্ষে স্কুলটি শিক্ষার্থীশূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে বানিয়াটারি গ্রামের খুদে পড়ুয়াদের এখন প্রায় আড়াই কিমি দূরে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষালাভ করতে হচ্ছে। বিশেষ করে বর্ষায় জল-কাদায় ভরা বেহাল রাস্তা পেরিয়ে স্কুলে যেতে অনীহা বাড়ছে অনেকের মধ্যে।
এক কিমির মধ্যে অন্য কোনও প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় পড়াশোনা ছেড়ে দিচ্ছে অনেক খুদে। ১৯৯৯ সালে চালু হয় কালমাটি অগ্রগামী শিশুশিক্ষা কেন্দ্র। স্কুলটি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে চললেও চলতি বছরের শুরু থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছে পঠনপাঠন। ঝড়-বৃষ্টির প্রভাবে স্কুলবাড়ির একাংশ পাশেই থাকা পুকুরে চলে গিয়েছে। বর্তমানে ভবনটির অব্যবহারযোগ্য অবস্থা। স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষিকা মিনতি রায় বলেন, স্কুলটি রক্ষার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু এটি মন্দিরের জমিতে হওয়ায় দলিল নেই বলে কিছুই করা যায়নি। জমির কাগজ না থাকায় সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও অনুমোদন হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা ধীরেন্দ্রনাথ বর্মন জানান, গ্রামে একটি স্কুল থাকা অত্যন্ত জরুরি। বহুবার চেষ্টা করলেও স্কুলবাড়ি সংস্কার হয়নি। বাধ্য হয়ে খুদেদের আড়াই কিমি দূরের স্কুলে পাঠাতে হচ্ছে। বর্ষায় বেহাল রাস্তা পেরিয়ে স্কুলে যেতে না পারায় স্কুলছুটের সংখ্যা বাড়ছে। দ্রুত সংস্কার করে স্কুলটি ফের চালু করা উচিত। এতে শুধু যাতায়াতের অসুবিধাই নয়, পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। দ্রুত স্কুলবাড়ি সংস্কার ও পুনরায় চালুর দাবি করেছি। দিনহাটা-২ ব্লকের এডুকেশন অফিসার পার্থ দে জানিয়েছেন, কালমাটি অগ্রগামী শিশুশিক্ষা কেন্দ্রকে শিক্ষার্থীশূন্য স্কুল হিসেবে চিহ্নিত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। কালমাটি অগ্রগামী শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের বাড়িটির ভগ্নদশা।-নিজস্ব চিত্র