চিরঞ্জিতের মুখে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১২ আগস্ট ২০২৫
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ, সম্প্রতি বারাসতে ‘কন্যা সুরক্ষা যাত্রা’-য় এসে তৃণমূলের একের পর এক নেতার নাম ধরে নিশানা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীকেও ‘বসন্তের কোকিল’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গ উঠতেই আক্রমণ না করে পাল্টা শুভেন্দু’কে প্রশংসা করেছেন বিধায়ক দীপক চক্রবর্তী ওরফে অভিনেতা চিরঞ্জিত।
রবিবার বারাসতে এক কর্মসূচিতে হাজির হয়ে চিরঞ্জিত বলেন, ‘শুভেন্দু’র সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। ও কিন্তু আমায় খুব ভালোবাসে। আমি যে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন লোক সেটা ও নিজেই আমাকে বলেছে। এটা হয়তো অনেকেই জানে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুভেন্দু এবং আমার মধ্যে সম্পর্ক ভালো। আমি সবার সঙ্গেই হেসেখেলে কথা বলি। যেটা আমার সতীর্থ দেবও করে থাকে। সকলের সঙ্গেই আমরা সম্পর্ক রেখে চলি। শুভেন্দু আমার ব্যক্তিগত ইমেজ নিয়ে যা বলেছে, সেটা ও’র সার্টিফিকেট কি না, বলতে পারব না। কারণ, এর আগে কুণাল ঘোষও শুভেন্দুকে সার্টিফিকেট দিয়ে বলেছিল ছেলেটা ভালো।’
যদিও এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি নিয়মিত বারাসতে আসেন বলে দাবি করেন। চিরঞ্জিত বলেন, ‘আমি প্রতি সপ্তাহে দু’দিন করে বারাসতে আসি। সেই হিসেবে মাসে ৮ দিন। বছরে ৯৬ দিন। তাহলে ১৫ বছরে কত বার এসেছি হিসেব করে দেখলেই বোঝা যাবে। বিরোধীদের কাজ সমালোচনা করা। করছে, করুক। তাতে কিছু আসে যায় না।’
প্রসঙ্গত, চিরঞ্জিত রাজনীতির লোক নন বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে অভিনেতা ও বিধায়ক চিরঞ্জিত বলেন, ‘আমি রাজনীতির লোক নই, এটা স্বীকার করতে কোনও অসুবিধে নেই। আমি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব কী করব না, সেটা সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক। তিনি যখন বলবেন, তখন বুঝতে পারব আমি ছাব্বিশের ভোটে লড়াই করছি কী করছি না। তিনি যদি বলেন ছাব্বিশের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা ফেলতে পারব না। তাঁর কথা অমান্য করার সাহস আমার নেই। আবার তিনি যদি বলেন, আমার বয়স হয়ে গিয়েছে, সরে যেতে হবে, তখন তো আমাকে ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়াতেই হবে।’