ভারতের ঐতিহাসিক স্বাধীনতার মধ্যরাত এবং বাংলার প্রতিবাদী রাত দখল অভিযান এখন এক বিন্দুতে মিলে গিয়েছে। গত বছর আর জি কর-কাণ্ডের ঠিক পর পরই সরকারি হাসপাতালে নাইট ডিউটি-রত অবস্থায় নিহত, ধর্ষিত চিকিৎসকের স্মৃতিতে রাজ্য জুড়ে কিংবা রাজ্যেরও বাইরে অনেকেই নির্ভয় রাতের অধিকার ছিনিয়ে নিতে মাঝরাতে অবস্থান সমাবেশের ডাক দেন। স্বতঃস্ফূর্ত সেই গণ আন্দোলনের পুরোভাগে ছিলেন মেয়েরা, রূপান্তরকামীরা। সেই ধারাবাহিকতা এক বছর বাদে আজ, বৃহস্পতিবার প্রাক্-স্বাধীনতার রাতেও অটুট থাকার কথা।
প্রতিবাদী নাগরিক জোট অভয়া মঞ্চের তরফেই রাজ্য জুড়ে ৩০-৩২টি জায়গায় সমাবেশের কথা জানানো হয়েছে। মোটামুটি রাত ৯টা থেকে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা। জলপাইগুড়ি থেকে যাদবপুর এইটবি-র মোড়, অ্যাকাডেমি অব ফাইট আর্টস। আবার কাঁচরাপাড়া থেকে কল্যাণী, তেহট্ট থেকে সোদপুর বা বেহালায় জমায়েতের কথা রয়েছে। আবার কলকাতায় বিকেল থেকেই পথে থাকবেন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি, ডিওয়াইএফআই, এসএফআই-এর প্রতিনিধিরা। আবার বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর কিছু অনুষ্ঠান আছে। তাঁর যাতায়াতের পথ অবাধ রাখতেও লালবাজার সতর্ক।
নগরপাল মনোজ বর্মার নির্দেশ, রাত দখলের আন্দোলনকারী বিশেষত মেয়েদের সঙ্গে অত্যন্ত সংবেদনশীল থাকতে হবে পুলিশকে। গত বছর স্বাধীনতার মধ্যরাতে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিশৃঙ্খলা মাথায় রেখেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে পুলিশকে। প্রতিটি থানাকে সতর্ক করা হয়েছে। আশপাশ থেকে আর জি করের সামনে কোনও প্রতিবাদ মিছিল চলে আসা অভিপ্রেত নয় বলে পুলিশের মত। বিনা অনুমতিতে ড্রোন ওড়ানো নিয়েও পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলে লালবাজার।