কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আগামী সপ্তাহে আদালতে চার্জশিট দিতে পারে লালবাজারের বিশেষ তদন্তকারী দল। সূত্রের খবর, ওই ঘটনায় ধৃত চার জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে পুলিশকর্তারা সিদ্ধান্ত না নিলেও গণধর্ষণের মূল চক্রী হিসাবে দেখানো হতে পারে ওই কলেজের প্রাক্তনী মনোজিৎ মিশ্রকে। উল্লেখ্য, নতুন চালু হওয়া বিএনএসএসের নিয়ম অনুযায়ী, গ্রেফতারির পরে ৬০ দিনের মধ্যে চার্জশিট দিতে হয় পুলিশকে। তাই আগামী সপ্তাহের শেষ দিকের মধ্যে ওই চার্জশিট দিতেই হবে তদন্তকারীদের।
এ দিকে, বুধবারই প্রেসিডেন্সি জেল থেকে ওই ঘটনায় ধৃত মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। গত রবিবার মনোজিতের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চেয়ে আলিপুর আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন তদন্তকারী অফিসারেরা। আদালত সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে তদন্তকারী দল বেশ কিছু অডিয়ো ক্লিপিংস পায়। যাতে হুমকি থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। সেই ক্লিপিংসের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে অভিযুক্তের কণ্ঠস্বর মিলিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। রাতে লালবাজার জানায়, মনোজিৎ ছাড়াও বাকি দুই অভিযুক্ত, প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জ়ইব আহমেদের কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া হয়েছে। প্রথমে রাজি না হলেও িবকেলে তারা কণ্ঠস্বরের নমুনা দিতে রাজি হয়।
গত ২৪ জুন কসবার আইন কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে সেখানকারই প্রাক্তনী মনোজিৎ এবং দুই বর্তমান পড়ুয়া জ়ইব ও প্রমিতের বিরুদ্ধে। পরের দিন নির্যাতিতার তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ ওই তিন জনকে গ্রেফতার করে। পরে ধরা হয় কলেজের নিরাপত্তারক্ষীকেও। উল্লেখ্য, নিরাপত্তারক্ষীর ঘরেই ওই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল।