পিয়ালি মিত্র: কীসের তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার হিন্দোল মজুমদার? সূত্রের দাবি, ঘটনার পর যাদবপুরের কয়েকজন ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের হোয়াটস্যাপ চ্যাটে উঠে আসে যাদবপুরের প্রাক্তনী তথা গবেষক হিন্দোলের ভূমিকা। একাধিক চ্যাটে হিন্দোল স্পেনে বসে যাদবপুরের হামলাকারী পড়ুয়াদের নির্দেশ দেয়, 'ব্রাত্য বসু এলে তাঁকে ঘিরে ফেলতে হবে। ব্রাত্য বসুর উপর হামলা করবি। ব্রাত্য বসুর গাড়িতে হামলা করবি।' মূলত হামলায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই ছাত্রকে।
হোয়াটস্যাপ মেসেজ তাঁর মন্তব্য, 'যাদবপুর আমাদের সংগঠন ছাড়া অন্য কোনও সংগঠন থাকবে না।' পুলিস সূত্রের দাবি, সূদুর স্পেনে থাকলেও পড়ুয়াদের প্রভাবিত করার ক্ষমতা রয়েছে। তাঁর ভূমিকা উঠে আসার পর তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়। কিন্তু সেই নোটিস সাড়া দেয়নি। এরপরই মার্চ মাসে লুক আউট সার্কুলার জারি করা হয়। বুধবার দিল্লি বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আটক করে পুলিস। বৃহস্পতিবার পাতিয়ালা হাউস কোর্টে ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য তোলা হয়েছে।
১ মার্চ তৃণমূলপন্থী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন ব্রাত্য বসু। অভিযোগ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে অতি-বামপন্থী ছাত্ররা তাঁকে ঘেরাও করেন। সেই সময় মন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে ধাক্কাধাক্কি ও ভাঙচুর চলে, যার জেরে আহত হন ব্রাত্যও। অন্যদিকে ছাত্রদের দাবি ছিল, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি প্রথমে এক ছাত্রকে ধাক্কা দেয়, এরপরই উত্তেজনা ছড়ায়।
পরে ওয়েবকুপার সদস্যদের সঙ্গেও বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। এই ঘটনায় যে এফআইআর দায়ের হয়েছিল, তাতে হিন্দোলের নাম ছিল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র হিন্দোল বর্তমানে স্পেনে গবেষণারত। ‘গ্রানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োমেডিসিন ও ক্লিনিক্যাল সায়েন্সে’ পিএইচডি করছেন।