বাবুল হক, মালদহ: লাগাতার বৃষ্টিতে ভূতনির বাঁধ ভেঙে বিপর্যস্ত লক্ষাধিক মানুষ। গোটা পরিস্থিতির জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। এলাকার এক বাসিন্দা ফোনে মানিকচকের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের কাছে এনিয়ে প্রশ্ন করতেই ধেয়ে এল কুকথা! অকথ্যভাষায় ওই ব্যক্তিকে আক্রমণ করতে শোনা গেল বিধায়ককে। ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল সেই কল রেকর্ডিং। ওই কণ্ঠস্বর যে নিজেরই, তা স্বীকার করে নিয়েছেন বিধায়ক। তাঁর কথায়, “মেজাজ হারিয়ে বলে ফেলেছি।”
বুধবার সকালে ভূতনি চরের দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাটাবাঁধ এলাকায় গঙ্গার জলের তোড়ে একটি বাঁধ ভেঙে যায়। সেই বাঁধ কেটে হু হু করে গঙ্গা ও ফুলহার নদীর জল ঢুকতে শুরু করে মালদহের মানিকচক এলাকার ভূতনি চরে। এলাকাটি দুই নদীর সংযোগস্থল। দুই নদীর জল ঢুকে এলাকার খাল, বিল, পুকুর প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি গ্রাম। চরম সমস্যার মধ্যে সাধারণ মানুষ। এরই মাঝে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে একটি কল রেকর্ডিং। দাবি ওই কথোপকথন এলাকার এক বাসিন্দা ও বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের।
কী শোনা যাচ্ছে ওই রেকর্ডিংয়ে? এক ব্যক্তি বাঁধের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছেন। দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন। তাতেই খেপে লাল ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা মহিলা। রীতিমতো অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে অডিওটি। সেটি আদৌ সত্য কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এসবের মাঝেই রেকর্ডিংয়ের কণ্ঠস্বর যে নিজের তা স্বীকার করে নিয়েছেন বিধায়ক। তিনি জানান, দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় মেজাজ হারিয়েছিলেন তিনি।