‘মাছেভাতে বাঙালি’র জন্য সুখবর! মাংসের পর এবার বিক্রি হবে ‘হরিণঘাটা ফিশ’
প্রতিদিন | ১৪ আগস্ট ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: কথায় বলে, ‘মাছেভাতে বাঙালি’। খাসির মাংস, চিকেন, ডিমের পর এবার মাছও বিক্রি করবে রাজ্যের প্রাণিসম্পদ দপ্তর। রুই, কাতলা, বাটা ও মৃগেল মাছ প্যাকেটজাত করে বিক্রি হবে ‘হরিণঘাটা ফিশ’ নাম দিয়ে। ইতিমধ্যেই ‘হরিণঘাটা মিট’ নামে যে স্টল রয়েছে সেখান থেকেই পাওয়া যাবে ২৫০ ও ৫০০ গ্রামের প্যাকেট। তবে এই মাছ ঠান্ডায় সংরক্ষণ করা হবে। ১২ দিন ‘সেলফ লাইফ’ থাকলেও সাতদিনের মধ্যে তা বিক্রি করা হবে। পশ্চিমবঙ্গ লাইভস্টক ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন বুধবার এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে। এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হরিণঘাটার সুপরিকল্পিত কোল্ড চেন ব্যবস্থার মাধ্যমে সরবরাহ করা মাছ থাকবে টাটকা, উন্নত স্বাদযুক্ত ও স্বাস্থ্যসম্মত। কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ দ্বারা পরীক্ষা করা হবে মাছগুলিকে। যেখানে নিশ্চিত করা হবে মাছ ক্ষতিকর রাসায়নিকযুক্ত কিংবা অ্যান্টিবায়োটিকবিহীন কি না।
জানা গিয়েছে, নিরাপদ বিশুদ্ধ মাছ ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে স্টল থেকে। এছাড়া ডিম উৎপাদনে বিপুল সাফল্যের পর হলুদ কুসুমের পুষ্টিকর ডিমও এদিন বাজারে আনা হয়েছে। ৬টি ও ৩০টি ? দু’ধরনের ডিমের প্যাকেট থাকবে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘হরিণঘাটা গোল্ড প্রিমিয়ার ডিম’। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন রাজ্য প্রাণিসম্পদ দপ্তর ডিমের উৎপাদন বাড়াক যাতে অন্য রাজ্য থেকে ডিম কিনতে না হয়। একইসঙ্গে হরিণঘাটার মাধ্যমে সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর আমিষ খাবার সাধারণ মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নানা প্রকল্পে সাফল্য পেয়েছে প্রাণিসম্পদ দপ্তর। একদিকে যেমন ‘হরিণঘাটা মিট’-এর চাহিদা তুঙ্গে উঠেছে, বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে তেমনই ডিম উৎপাদন এমন জায়গায় গিয়েছে যে অন্য রাজ্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে না।
এবার বাজারে এল হরিণঘাটা ব্র্যান্ডকে সামনে রেখে মাছ। জানা গিয়েছে, গলসিতে এই চার ধরনের মাছের চাষ শুরু হয়েছে। মাছগুলি প্যাকেটজাত করা হচ্ছে মাথা, লেজ, আঁশ, নাড়িভুঁড়ি সমস্ত বাদ দিয়েই। প্যাকেট স্বাস্থ্যসম্মত প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত করা হচ্ছে। কেনার পর শুধু তেলে ফেলে রান্না করাটাই বাকি। গলসি থেকে প্যাকেট হয়ে হরিণঘাটার নিজস্ব শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতে মাছ চলে আসবে কলকাতায়। আপাতত কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় হরিণঘাটা মিট স্টল থেকেই মাছ বিক্রি হবে। পুজোর আগে মোট ১০০ স্টলে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। প্রকল্প যদি সফল হয়, তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে জেলাগুলিতেও।