ধনঞ্জয় মামলায় পুনর্বিচারের দাবি, ধর্ষণে ফাঁসি হওয়ার পরও বাঁকুড়ার বুকে ফের শুরু আন্দোলন
প্রতিদিন | ১৪ আগস্ট ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: ছাত্রী হেতাল পারেখকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ২১ বছর আগে ফাঁসি হওয়া ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় মামলার পুনর্বিচার শুরুর দাবি। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে নয়া আন্দোলন। কুলুডিহি গ্রামের মন্দিরে পুজো যেমন হবে, তেমনই প্রতিবাদ সভাও হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ১৪ আগস্ট ভোররাতে কলকাতার আলিপুর জেলে ফাঁসি হয় ধনঞ্জয়ের। বস্তুত সেই দিন থেকেই বাঁকুড়ায় তাঁর জন্মভিটে কুলুডিহির গ্রামে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি শুরু করছেন ‘পুনর্বিচার মঞ্চে’র সদস্যরা। বাম জমানায় তদন্তের নামে একতরফাভাবে পুলিশি হুমকিতে সাক্ষ্য দেওয়া ছাড়াও তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই নিরপরাধ ধনঞ্জয়কে ফাঁসিতে চড়ানো হয়েছিল বলে ইতিমধ্যে গবেষকরা প্রমাণ করে দিয়েছেন। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে ধনঞ্জয়কে ফাঁসি দেওয়া ফাঁসুড়ে নাটা মল্লিকের পরিবারও এই আন্দোলনে যুক্ত হয়ে পুনর্বিচারের পক্ষে সওয়াল করছেন। গত বছর ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এ একান্ত সাক্ষাৎকারে ধনঞ্জয়ের স্ত্রী পূর্ণিমা অভিযোগ করেছিলেন, “গরিব বলেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল আমার স্বামীকে।”
হেতাল পারেখ মামলার পুনর্বিচার হলে স্বামীকে ফিরে না পেলেও কলঙ্কমুক্ত হবে তাঁর পরিবার, এমন মন্তব্যও করেছেন ধনঞ্জয়ের ভাই বিকাশ চট্টোপাধ্যায়। গোটা বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করছে রাজ্য সরকার। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক পুনর্বিচারের আবেদন গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন বলে দাবি আইনজীবীদের। ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় ও হেতাল পারেখের আত্মার শান্তি কামনা করে এদিন কুলুডিহি গ্রামের লাগোয়া ‘বাসুলিমায়ের মন্দির’-এ পুজো যেমন হবে, তেমনই প্রতিবাদ সভাও হবে। ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় পুনর্বিচার মঞ্চের আহ্বায়ক ড. চন্দ্রচূড় গোস্বামী বাঁকুড়া থেকে জানিয়েছেন, “ছাতনা থানার কাছে কামারকুলি মোড়ে জমায়েত হবে। নিরপরাধ পুরোহিতের পুত্র ধনঞ্জয়কে চক্রান্ত করে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল। তাই এই প্রতিবাদ সভায় ধনঞ্জয়ের ছেলেবেলার বন্ধুরা যেমন এই জমায়েতে থাকবেন, তেমনই কুলুডিহি তথা ছাতনাকে ‘ধর্ষকের গ্রাম’ কলঙ্ক গায়ে লাগিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে পথে নামবেন সাধারণ গ্রামবাসীরাও। কামারকুলি মোড়ে ধনঞ্জয়ের মূর্তি বসানোর দাবি উঠেছে, সিদ্ধান্ত নেবেন এলাকাবাসী।”