সামান্য বিষয়ে বচসা! বনগাঁর ল’ক্লার্ককে হেনস্তার অভিযোগ বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে
প্রতিদিন | ১৪ আগস্ট ২০২৫
জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বাইকে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে বচসা। বনগাঁ মহকুমা আদালতের ল’ক্লার্ককে গালিগালাজ ও মারতে উদ্যত হওয়ার অভিযোগ উঠল বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির নব্য সভাপতি বিকাশ ঘোষের বিরুদ্ধে। ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন ওই ল’ক্লার্ককে। তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে দাবি করেছেন। এই ঘটনায় তৃণমূলের কটাক্ষ, “মানুষের কাছে গণধোলাই খাবে ওই বিজেপি নেতা।” তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির জেলা সভাপতি জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তিনি কথা না বাড়িয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসেন।
কী কারণে বচসা? জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ কর্মসূচি সেরে বাড়িতে ফিরছিলেন বিজেপির বনগাঁ সাংগাঠনিক জেলার সভাপতি বিকাশ ঘোষ। সেই সময় বনগাঁ আদালত চত্বরে নিজের দোকানের সামনে বাইক দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন বনগাঁ মহকুমা আদালতের ল’ক্লার্ক গণেশ বিশ্বাস। সেই সময় বিকাশের গাড়ি এসে ধাক্কা মারে গণেশের বাইকে। তা নিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন দু’পক্ষ।
অভিযোগ, বচসা চলাকালীন বিজেপি নেতা গালিগালাজ করেন। এমনকী মারতেই উদ্যত হন। গণেশ বলেন, “দোকান বন্ধ করার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম। সেই সময় আমার বাইকে ধাক্কা মারে একটি চারচাকা গাড়ি। আমি স্বাভাবিকভাবেই রেগে যাই। চিৎকরা করি। ওই ব্যক্তি আমাকে মারতে এগিয়ে আসে। খুব খারাপ ভাবে কথা বলতে থাকে। আশেপাশের লোকজন না থাকলে হয়তো আমাকে মারধর করতেন। পরে জানতে পারি উনি বিজেপির বনগাঁ সাংগাঠনিক জেলার সভাপতি। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।” এই বিষয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “বিজেপির কোনও কালচার নেই। মানুষের উপর বুলডোজার চালাতে চায় এরা। রাজনীতিতে মানুষ শেষ কথা বলে। ওরা মানুষের উপর বিশ্বাস রাখে না। নব্য নিযুক্ত এই জেলা সভাপতি মানুষের কাছে গণধোলাই খাবেন। ওর এলাকার মানুষ ওকে পছন্দ করে না শুনেছি।”
যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন বিজেপি সভাপতি বিকাশ ঘোষ। তিনি বলেন, “আমার গাড়ির লুকিং গ্লাসের ধাক্কায় বাইকটি পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে নেমে সেটি তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু ওই ব্যক্তি বাজে ভাবে কথা বলতে থাকে। উনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। কথা না বাড়িয়ে নিজের সম্মান রক্ষার্থে ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি।” ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।