• টোটোর জন্য হচ্ছে নতুন নীতি, দাবি মন্ত্রীর
    আনন্দবাজার | ১৪ আগস্ট ২০২৫
  • রাজ্যে ই-রিকশা তথা টোটোগুলিকে নিয়মের মধ্যে বাঁধতে নতুন নীতি চালু করতে চলেছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। সব কিছু ঠিক থাকলে পুজোর আগেই পরিবহণ আইনের আওতায় তা চালু করা হবে। বুধবার শিলিগুড়িতে তা জানান রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘টোটো নিয়ে নীতি আনছে রাজ্য। খুব তাড়াতাড়ি ১৫ থেকে এক মাসের মধ্যেই তা কার্যকর হতে পারে। ট্রাফিক পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর থেকে সেই এলাকায় টোটোগুলিকে ওই নিয়মে নথিভুক্ত করা হবে। তাদের বিশেষ কিউআর কোডের স্টিকার লাগানো হবে। এর পর খুশি মতো কোনও টোটো নামানো যাবে না।’’ তাঁর সংযোজন, ওই নীতি ইতিধ্যেই অনুমোদন করেছে রাজ্য সরকার।

    যত লাইসেন্স-বিহীন টোটো রয়েছে সেগুলি নথিভুক্ত হবে। মোটর ভেহিকেল আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তা করা হবে বলে মন্ত্রী জানান। জানানো হয়েছে, পরবর্তীতে গ্যারাজগুলি থেকে যে সমস্ত দেদার অটো তৈরি করে নামানো হচ্ছে তা বন্ধ করা হবে। নীতি চালু হলে যে সমস্ত স্বীকৃত সংস্থা গাড়ি বিক্রির করে তাদের থেকে কেনা টোটো অনুমোদন পাবে। ‘সেন্ট্রাল মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট’ অনুসারে টোটো বা ইকো ফ্রেন্ডলি গাড়ি বলে এদের পারমিট নিতে হয় না। সে কারণে যে কেউ টোটো কিনছেন। তাতে নিয়ন্ত্রণের উপায়ও নেই বলে মন্ত্রী এদিন দাবিও করেন। তিনি বলেন, ‘‘টোটো চালকদের জীবীকা কেড়ে নেওয়া সরকারের উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু যাতে যানজট না-হয় কোন রাস্তায় কোন টোটো চলবে সে সব নিয়মের মধ্যে আনা হবে। সেই সঙ্গে চালকদের প্রশিক্ষণের বিষয়টিও ভাবা হচ্ছে।’’ কেন না নাবালক টোটো চালকদেরও দেখা যায়।

    উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার পুরনো বাস নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সেগুলি মাঝপথে রাস্তার মধ্যে খারাপ হয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মন্ত্রী জানান, নতুন বাস কেনা হচ্ছে। ৬ মাস থেকে এক বছরের মধ্যে পুরনো গাড়ির বদলে নতুন গাড়ি আসবে।

    এ দিন ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের কাজ দেখতে শিলিগুড়িতে এসেছিলেন মন্ত্রী। নকশালবাড়ি এবং খড়িবাড়িতে চারটি জায়গায় ওই কর্মসূচিতে অংশ নেন। পরে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে সভাধিপতি অরুণ ঘোষ এবং কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাধিপতি, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের নিয়ে বৈঠক করেন তা নিয়ে। ছিলেন পুরসভার পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারও।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)