অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে কয়েক লক্ষ ভুয়ো ভোটার আছে বলে বুধবার অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর। ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই অনুরাগের দিল্লির বাড়িতে গিয়ে ডায়মন্ড হারবারের ‘সত্যি’ কী, তা খামবন্দি অবস্থায় দিয়ে এলেন অভিষেকের প্রতিনিধি।
বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ অনুরাগের দুয়ারে পৌঁছোন অভিষেকের দূত। বিজেপি নেতার বাংলোর মূল ফটকে ‘ঠক ঠক’ করতেই দরজা ফাঁক করেন এক নিরাপত্তারক্ষী। তাঁর হাতেই একটি খাম তুলে দেন অভিষেকের পাঠানো প্রতিনিধি। ওই খামে রয়েছে একটি পেনড্রাইভ। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ডায়মন্ড হারবারের ভোটের সমস্ত পরিসংখ্যান ভিডিয়ো এবং গ্রাফিক আকারে দেওয়া রয়েছে ওই পেনড্রাইভে।
ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে সরব বিরোধীরা। সেই আবহে রাহুল গান্ধী, অখিলেশ যাদবের মতো একাধিক বিরোধী সাংসদের কেন্দ্র উল্লেখ করে বিজেপি নেতা অনুরাগ দাবি করেন, তাঁদের সকলের কেন্দ্রে ভুয়ো ভোটার রয়েছে। অনুরাগের তালিকায় ছিল লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা অভিষেকের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারও।
যে কায়দায় রাহুল পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে গ্রাফিক দেখিয়ে ‘ভোটচুরি’র অভিযোগ তুলেছিলেন, সেই একই কায়দায় সাংবাদিক বৈঠক করেন অনুরাগ। অভিষেকের কেন্দ্র সম্পর্কে অনুরাগের দাবি ছিল, গত চার বছরে ডায়মন্ড হারবারের ৩০১টি বুথে ১৫ শতাংশ ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ২০২৪ সালের ভোটার তালিকা অনুযায়ী ডায়মন্ড হারবারে নকল ভোটারের সংখ্যা ৩ হাজার ৬১৩, ভুয়ো ঠিকানায় নাম রয়েছে ১ লক্ষ ৫৫ হাজার ৩৬৫ জনের। পাল্টা তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর কেন্দ্র বারাণসীতে গত চার বছরে ১২ শতাংশ ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে, তা কি অনুরাগের চোখে পড়েনি?
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবারে রেকর্ড সাত লক্ষ ১০ হাজার ভোটে জিতেছেন অভিষেক। দিল্লিতে যখন অনুরাগের বাড়িতে দূত মারফত তথ্য পাঠান অভিষেক তার পিঠোপিঠি সময়ে কলকাতার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন কুণাল ঘোষ। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে হিংসায় এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন অনুরাগ ঠাকুর। তিনি জানেনই না, ভোটার তালিকায় নাম থাকা বা বাড়ির ঠিকানা ধরে কী ভাবে নাম তোলা হয়। আসলে তিনি ঠিক করে হোমওয়ার্ক না করেই এ সব মিথ্যা দাবি করছেন।’’