• মদ-জুয়ার আসর থেকে গ্রেপ্তার নেতা, অসামাজিক কাজে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি, বলছে তৃণমূল
    প্রতিদিন | ১৫ আগস্ট ২০২৫
  • সুমন করাতি, হুগলি:  প্রকাশ্যে বাজার এলাকায় মদ-জুয়ার আসর। বুধবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন তৃণমূল নেতা। নাম শংকর ঘোষ। তিনি উত্তরপাড়া-কোতরাং পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। এনিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সাফ কথা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের কার্যকলাপে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে দল চালান। ব্যক্তিগতভাবে কেউ কোনও অসামাজিক কাজে সঙ্গে যুক্ত হলে সেই দায়িত্ব দল নেবে না।

    জানা যায়, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাতে রঘুনাথপুর বাজার এলাকায় মদ জুয়ার আসরে হানা দেয় পুলিশ। একেবারে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয় ৯ জনকে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই আসরেই ছিলেন অভিযুক্ত শংকর। তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। জমি কেনাবেচা সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু এরপরেও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এ বিষয়ে উত্তরপাড়া-কোতরাং পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান খোকন মণ্ডল জানিয়েছেন, ”কেউ ব্যক্তিগতভাবে কোনও অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হলে দল তার দায়িত্ব নেবে না।” এক্ষেত্রে দল যে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।

    তৃণমূল নেতা খোকন মণ্ডল বলেন, ”দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জিরো টলারেন্স নীতিতেই দল চালান। আইন অনুযায়ী কড়া পদক্ষেপ করা হবে।” তবে তাঁর কথায়, বহু মানুষ তৃণমূলে আসেন আবার তাদের স্বার্থ চরিতার্থ না হলে চলেও যান। এদিকে, এই ইস্যুতে শাসকদলকে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। দলের হুগলির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক ইন্দ্রনীল দত্ত বলেন, ”যাদব পরিবারের সমর্থন ছাড়া উত্তরপাড়া বিধানসভায় কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপ সম্পন্ন হয় না।” তাঁর অভিযোগ, এই সমস্ত দুষ্কৃতীদেরই ভোট লুটে কাজে লাগায় তৃণমূল। তবে আগামিদিনে মানুষ এর জবাব দেবে বলেই দাবি বিজেপি নেতার। 

    বলে রাখা প্রয়োজন, গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই তৃণমূল কর্মী শংকর নস্করের সঙ্গে উত্তরপাড়া-কোতরাং পুরপ্রধান দিলীপ যাদব এবং কাউন্সিলার তথা যুব তৃণমূল নেতা অর্ণব রায়ের একাধিক ছবি ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)