মন্দিরের দেওয়ালে আলোয় ফুটে উঠবে জাতীয় পতাকা, কৌশিকী অমাবস্যার আগে তারাপীঠে পুণ্যার্থীদের ব্যাপক ভিড়
বর্তমান | ১৫ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, রামপুরহাট: গতবছর থেকে তারাপীঠ মন্দিরের দেওয়ালে আলোর রশ্মির মাধ্যমে জাতীয় পতাকার মাহাত্ম্য তুলে ধরা হচ্ছে। এবারও তার অন্যাথা হবে না। শুক্রবার স্বাধীনতা দিবস, পরের দু’দিন শনি ও রবিবারের ছুটি থাকায় ব্যাপক ভিড় হয়েছে। কৌশিকী অমাবস্যার আগে ব্যাপক ভিড় হওয়ায় পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সকলের মুখে হাসি ফুটেছে।
শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসে বীর শহিদদের কথা স্মরণ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। গতবছর থেকে সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে তারাপীঠ মন্দির। ভারতের জাতীয় পতাকার তিনটি রং-গেরুয়া, সাদা ও সবুজ। এছাড়া মাঝখানে নীল রঙের অশোক চক্র। গেরুয়া রং ত্যাগ, সাহস ও জ্ঞানের প্রতীক।
জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে এই রঙের অধিপতি হল মঙ্গল গ্রহ। মঙ্গল গ্রহের উপাদান হল আগুন। যা শক্তি ও সাহসের প্রতীক। গেরুয়া ও হলুদ রং অনেকটাই কাছাকাছি। হলুদ রঙের অধিপতি হল বৃহস্পতি। এই গ্রহ জ্ঞান, বুদ্ধি ও দয়ার প্রতীক।
গেরুয়া রং আমাদের মনে ধর্মীয় ভাব, ত্যাগ ও জ্ঞান জাগরিত করে। সাদা রং শান্তির প্রতীক। আর সবুজ রং হল আস্থা, উর্বরতা ও তারুণ্যের প্রতীক। দেশের সম্পদ ও উন্নয়নকে চিহ্নিত করে এই রং। এই রং আমাদের দেশের কৃষি সম্পদ ও যুব সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে।
জাতীয় পতাকার মধ্যস্থানে থাকা অশোক চক্র আমাদের জয়ের ইতিহাসকে তুলে ধরে। নীল রঙের অশোক চক্র ভারতের জয় ও শান্তির ঐতিহ্যকে প্রকাশ করে। ভারত মায়ের প্রতি সম্মান জানাতে তারাপীঠ মন্দিরের দেওয়ালে জাতীয় পতাকার রঙের আলোর ছটা ফেলা হবে। সেই সঙ্গে গোটা মন্দির চত্বর ত্রিরঙ্গা আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হবে।
মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, স্বাধীনতার দিনটি মানুষের মধ্যে স্মরণীয় করে রাখতে এই উদ্যোগ। সবাই তো এই দিনটিতে কাপড়ের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সেটা যদি আলোর মাধ্যমে হয় তাহলে তা পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে তারাপীঠ। জাতীয়তাবোধ আরও বেশি করে জাগ্রত হবে। সেইসঙ্গে স্বাধীনতা আন্দোলনের বীর শহিদদের নিঃস্বার্থ ত্যাগ এবং অবদান স্মরণ করা হবে। শুরবার এবং পরের দু’দিন ছুটি থাকায় হাজার হাজার পর্যটকের ঢল নামবে তারাপীঠে।
ওইদিন সকল পর্যটকদের মধ্যে দেবীর ভোগ ও পায়েস বিলি করা হবে বলে জানিয়েছে মন্দির কমিটি।
আজ ‘জয় মা তারার’ পাশাপাশি বন্দেমাতরম স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠতে চলেছে দেশের অন্যতম তীর্থভূমি বামাখ্যাপার এই সাধনাস্থল।