• শোভাবাজার রেলস্টেশন: গায়ে পা ঠেকে যাওয়া নিয়ে ঝামেলা, প্রতিবাদ করায় যুবককে পিটিয়ে খুন
    বর্তমান | ১৫ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গায়ে পা ঠেকে গিয়েছিল। এ নিয়ে বচসার পরেই ওই যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল কয়েকজন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। রবিবার রাত ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে চক্র রেলের শোভাবাজার স্টেশনে। মৃত যুবকের নাম প্রকাশ রাজবংশী (২৭)। তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে চিৎপুর জিআরপি অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

    রেল পুলিস সূত্রে খবর, নিউটাউন থানা এলাকার বাসিন্দা প্রকাশ শ্রাবণের শেষ সোমবার উত্তর কলকাতার একটি মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালবেন বলে রবিবার রাতেই আহিরিটোলায় চলে আসেন। সঙ্গে ছিলেন আরও চার বন্ধু। গঙ্গার পাড়ে অতিরিক্ত ভিড় থাকায় প্রথমে জল তোলেননি তাঁরা। রাত ১টা নাগাদ ঘাট একটু খালি হলে গঙ্গা থেকে মাটির কলসিতে জল নিয়ে চক্র রেলের শোভাবাজার স্টেশনে গিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। ভেবেছিলেন, ভোরের দিকে মন্দিরে গিয়ে জল ঢালবেন। সেই সময় তাঁরা নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলে রেল পুলিস জানিয়েছে। রাত ২টো নাগাদ সেখানে হাজির হয় চার-পাঁচজন যুবক। প্রকাশের দাদা বিশ্বজিৎ রাজবংশীর দাবি, ওই যুবকদের মধ্যে একজন ইচ্ছাকৃতভাবে ভাইকে লাথি মারে। ভাই প্রতিবাদ করলে শুরু হয় তর্ক। এরপর দু’পক্ষই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। ওই যুবকদের দাবি, লাথি মারা হয়নি, যাওয়ার সময় গায়ে পা ঠেকে গিয়েছিল। খানিক বাদে ওই যুবকরা চলে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তারা বাঁশ, লাঠি, রড নিয়ে ফের হাজির হয় প্ল্যাটফর্মে। তারা প্রকাশ ও তাঁর বন্ধুদের উপর চড়াও হয়ে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। সেই সময় প্রকাশকে প্ল্যাটফর্মে ফেলে বাঁশ, লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে মারে অভিযুক্তরা। বাধা দিতে গেলে তাঁর বন্ধুদেরও মারধর করা হয়।

    ওই দিন গভীর রাতে প্ল্যাটফর্মে কোনও রেল 

    পুলিস ছিল না। স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরে চিৎপুর রেল পুলিসের কর্মীরা যখন প্ল্যাটফর্মে আসেন, ততক্ষণে চম্পট দিয়েছে অভিযুক্তরা। প্রকাশকে সঙ্কটজনক অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। আহত চারজনকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, মাথায় রক্ত জমাট বেঁধেই মৃত্যু হয়েছে প্রকাশের। তাঁর দাদা চিৎপুর জিআরপিতে অভিযোগ করলে রেল পুলিস কেস রুজু করে। প্রকাশের বন্ধুরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের পরিচয় তাঁরা জানেন না। তদন্তে নেমে পুলিস ওই এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।
  • Link to this news (বর্তমান)