আমডাঙার দু’টি পঞ্চায়েতকে ২৯ লক্ষ টাকায় ২ অ্যাম্বুলেন্স প্রদান বিধায়কের
বর্তমান | ১৫ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষের দাবি ছিল অ্যাম্বুলেন্সের। এনিয়ে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’র দপ্তরে জমা পড়ে আবেদনও। অবশেষে দপ্তরের নির্দেশ মতো সেই দাবি পূরণ করলেন আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক। বুধবার বিডিও অফিসে ব্লকের অন্তর্গত দুটি পঞ্চায়েতের জন্য ২৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তুলে দেওয়া হল দু’টি এসি অ্যাম্বুলেন্স। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক রফিকুর রহমান, বিডিও নবকুমার দাস, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান প্রমুখ।
আমডাঙা বিধানসভার প্রত্যন্ত পঞ্চায়েত বলে পরিচিত সাধনপুর ও তারাবেড়িয়া। এই এলাকা থেকে আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে আসতে অনেকটাই সময় লেগে যায়। এছাড়া সঙ্কটজনক রোগীদের সাধারণ গাড়িতে করে বারাসত মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়াও খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যা ভোগ করছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার জন্য আর্জি জানান তাঁরা। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে যোগাযোগ করা হয় বিধায়ক রফিকুর রহমানের সঙ্গে। এদিন তারাবেড়িয়া ও সাধনপুর পঞ্চায়েতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে দুটি এসি অ্যাম্বুলেন্স। প্রতিটির জন্য খরচ হয়েছে ১৪ লক্ষ ৩২ হাজার ৬৪৫ টাকা।
এনিয়ে বিধায়ক রফিকুর রহমান বলেন, আমার বিধানসভা এলাকায় সব পঞ্চায়েতেই একটি করে অ্যাম্বুলেন্স আছে। কিন্তু তারাবেড়িয়া ও সাধনপুরে ছিল না। এলাকার মানুষ সেকথা মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে জানান। তারপর সেখান থেকে আমাকে এই দুটি পঞ্চায়েতে অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এজন্য রোগীর পরিবারকে গাড়ির তেল খরচ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ড্রাইভারের টাকা দিতে হবে। তবে এর থেকে পঞ্চায়েতের টাকা রোজগারের কোনও বিষয় নেই।