• কচুয়া-চাকলার লোকনাথ মন্দিরের পথে ভক্তরা, আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা
    বর্তমান | ১৫ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: রাত পোহালেই জন্মাষ্টমী। ভক্তরা পৌঁছচ্ছেন চাকলা ও কচুয়ার লোকনাথ মন্দিরে। আজ বাড়বে ভক্তদের ভিড়। সেই মতো বিভিন্ন জায়গায় তাঁবু তৈরি হয়েছে। দুটি মন্দিরেই ভক্তদের জন্য আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে পুলিস। 

    চাকলা লোকনাথ মন্দিরের ৫২ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এবছর বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার— তিনদিন লোকনাথ বাবার মাথায় জল ঢালার ব্যবস্থা রেখেছে মন্দির কমিটি। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই ভক্তরা আসতে শুরু করেছেন। শুক্রবার জন্মাষ্টমীকে সামনে রেখে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী মূলত যশোর রোড ধরে বিড়া, বদর রোড হয়ে পৌঁছবেন চাকলা লোকনাথ মন্দিরে। অনেকে আবার টাকি রোড ধরে বেড়াচাঁপা মোড় থেকে মাটি কুমড়া হয়েও পৌঁছন। তাই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে, শুক্র ও শনিবার লক্ষ লক্ষ ভক্তের ভিড় হবে বলেই নিশ্চিত মন্দির কমিটি। বৃহস্পতিবার দুপুরে চাকলা মন্দিরে নিরাপত্তার বিষয়টিও খতিয়ে দেখেছেন বারাসত পুলিস জেলার সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া।  পাশাপাশি মন্দির কমিটির নিজস্ব ৫০০ নিরাপত্তারক্ষী সহ ৩৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। এই প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিস সুপার অতীশ বিশ্বাস বলেন, ভক্ত সমাগমের কথা মাথায় রেখেই নিরাপত্তা সহ ট্রাফিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মন্দির কমিটির প্রধান উপদেষ্টা নবকুমার দাস বলেন, বৃহস্পতিবার অনেক ভক্ত জল ঢেলেছেন। শুক্রবার কয়েক লক্ষ ভক্ত আসবেন।

    কচুয়া মন্দিরের উদ্দেশেও রওনা দিয়েছেন ভক্তরা। লোকনাথ মন্দিরের স্বেচ্ছাসেবকরা নিরাপত্তার দিক সামাল দিচ্ছেন শুক্রবার থেকেই। কয়েক বছর আগে ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল কচুয়ায়। তারপর থেকেই বেড়েছে নিরাপত্তা। এই প্রসঙ্গে উৎসব কমিটির সহ সভাপতি অলোক দত্ত বলেন, জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে লক্ষ লক্ষ ভক্তের ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য উৎসব কমিটির ৭০০ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। পাশাপাশি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করা হচ্ছে। এছাড়া রাস্তায় রয়েছে পর্যাপ্ত আলো। ভোগের ব্যবস্থা থাকছে। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বারাসতের কলোনি মোড়ে লোকনাথ বাবার পুজো করা হয়। ধুমধাম করে বাবার পুজোর পাশাপাশি পথচলতি মানুষদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যপরীক্ষা শিবিরের আয়োজনও ছিল। অনেকেই স্বাস্থ্যশিবিরে এসে পরীক্ষা করান। এছাড়া ভক্তদের জন্য রাতে প্রসাদ বিতরণ হয়। লম্বা লাইন দিয়ে মানুষ প্রসাদ গ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, বারাসত ও মধ্যমগ্রাম পুরসভার দুই চেয়ারম্যান প্রমুখ।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)