• ‘ভগবানের দর্শন করে ফিরছিলাম, হঠাৎ…’, বর্ধমানের দুর্ঘটনায় বাবা, দাদুকে হারিয়ে দিশেহারা সোনম
    এই সময় | ১৫ আগস্ট ২০২৫
  • সপরিবারে গঙ্গাসাগরে স্নান করতে গিয়েছিল বছর ১৬-র সোনম কুমারী। বাবা, মা, দাদু-ঠাকুমা, মাসি, মেসো, দুই ভাইও সঙ্গে ছিলেন। শুক্রবার ভোর পর্যন্ত সবকিছু ঠিকই ছিল। ঘরে ফেরার বেলায় মনটা কিছুটা ভারী ছিল বটে। তবে লম্বা জার্নিতে চোখে হালকা ঘুম লেগেছিল। এ দিন সকালবেলা বিকট আওয়াজ শুনে কিছু ভাবনা চিন্তা করার আগেই প্রচণ্ড টানে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল সোনম। নাবালিকা কিছু বোঝার আগেই দেখেছিল রক্তাক্ত পরিবারের একাধিকজন। 

    শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ পূর্ব বর্ধমানের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ফাগুপুর এলাকায় পুণ্যার্থীদের বাস সজোরে ধাক্কা দেয় রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে। এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সোনমের বাবা নরেশ পাশওয়ান (৪০) এবং দাদু পুনদেব পাশওয়ান (৬৫)। গুরুতর আহত নীতু দেবী। 

    তাঁদের বাড়ি বিহারের মতিহার জেলার হারিয়ান ছাপড়ায়। আহত সোনমের পরিবারের অন্য সদস্যরাও। অল্প আহত হয়েছে এই নাবালিকাও। কান্না জড়ানো গলায় সে বলে, ‘বাবা প্রস্তাব দিয়েছিল গোটা পরিবার নিয়ে ভগবানের দর্শনে যাওয়ার। প্রথমে আমরা দেওঘরে গিয়েছিলাম। তার পরে সেখান থেকে গঙ্গাসাগরে স্নান করতে গিয়েছিলাম। এর পরে কলকাতায় কিছুটা সময় কাটানোর পরে রাজগীর যাচ্ছিলাম। পথে এই ঘটনা ঘটে গেল।’

    এই নাবালিকা আরও বলে, ‘আমার বাবাকে দেখেছি, সবসময় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। বাবা লোকজনকে বাড়িতে ডেকে খাওয়াতেন। কেন যে আমাদের সঙ্গে এই রকম হলো!’ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই বাসের চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। সেই কারণেই দুর্ঘটনা নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • Link to this news (এই সময়)