জলপাইগুড়িতে লেপ্টোস্পাইরা, পোল্ট্রি ফার্ম বন্ধের নির্দেশ প্রশাসনের
বর্তমান | ১৫ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: লেপ্টোস্পাইরা সংক্রমণের কারণ খুঁজতে গিয়ে হদিশ মিলল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র ছাড়াই চলা পোল্ট্রি ফার্মের। বিষয়টি নজরে আসামাত্র জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা অঞ্চলে চলা ওই পোল্ট্রি ফার্ম বন্ধের নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক শমা পারভীন।এর আগে ওই পোল্ট্রি ফার্মের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ওই পোল্ট্রি ফার্মের কারণে এলাকায় মাছির মারাত্মক দাপট। মাছির দাপটে প্রায় সাতটি গ্রামের বাসিন্দারা কার্যত মশারি বন্দি হয়ে পড়েন। সেই অবস্থা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিলেও ওই পোল্ট্রি ফার্ম বন্ধে সেসময় কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে কয়েকদিন ধরে সন্ন্যাসীকাটা পঞ্চায়েতের চেকরমারি সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামে লেপ্টোস্পাইরা ও হেপাটাইটিস এ ছড়িয়ে পড়ায় ফের ওই পোল্ট্রি ফার্মের বিরুদ্ধে সরব হন স্থানীয়রা। তাঁদের বক্তব্য, ওই পোল্ট্রি ফার্ম থেকেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা। এনিয়ে প্রশাসনের কাছেও অভিযোগ করেন তাঁরা। এরপরই ওই পোল্ট্রি ফার্মটি নিয়ম মেনে চলছে কি না তা খতিয়ে দেখতে নামে প্রশাসন। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। তারা আসরে নেমে জানতে পারে, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র ছাড়াই ওই পোল্ট্রি ফার্মটি চলছে। শুধু তাই নয়, ওই ফার্মের কোনও বিল্ডিং প্ল্যান নেই। নেই ফায়ার লাইসেন্স সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথি। এরপরই সংশ্লিষ্ট পোল্ট্রি ফার্ম কর্তৃপক্ষকে বৃহস্পতিবার তলব করে জেলা প্রশাসন।জেলাশাসক শমা পারভীন বলেন, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র ছাড়াই ওই পোল্ট্রি ফার্ম চলছিল। যা বেআইনি। তাছাড়া তাদের কাছে বিল্ডিং প্ল্যান, ফায়ার লাইসেন্স কিছুই নেই। নথিপত্র ছাড়া ওই পোল্ট্রি ফার্ম চলতে পারে না। সেকারণে যতদিন না তারা নথি জোগাড় করতে পারছে, ওই ফার্ম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। ফার্মে এখন যে মুরগি রয়েছে, সাতদিনের মধ্যে তা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। যদিও জেলা প্রশাসনের এদিনের নির্দেশ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি ওই পোল্ট্রি ফার্ম কর্তৃপক্ষ।