অর্ণব দাস, বারাকপুর: ভিনরাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্তার অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে গান্ধীঘাটে গিয়ে এই হেনস্তার কথা মেনে নিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসও। বললেন, “সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে।”
বাংলার আবেগ, বাঙালির গর্ব। এমন সোনাঝরা ভাষা আজ আক্রমণের মুখে! বাংলার বাইরে ‘মধুরতম’ ভাষায় কথা বললেই জুটছে ‘বাংলাদেশি’ তকমা। দেশের মানুষকে দেশছাড়া করার তোড়জোড় চলছে। এবং বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। পরিস্থিতির গতিপ্রকৃতি সমৃদ্ধশালী বাংলা ভাষাকে বাঁচাতে নতুন করে লড়াই শুরু করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্যে অত্যাচারিত বাঙালিদের পাশে দাঁড়াতে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে তৃণমূল।বেশ কয়েকজনকে বাংলায় ফেরানোও হয়েছে রাজ্যের উদ্যোগে।
শুক্রবার স্বাধীনতা দিবসের সকালে গান্ধীঘাটের অনুষ্ঠানে রাজ্যপালও মুখ খুললেন বাঙালি হেনস্তা ইস্যুতে। এদিন তিনি বলেন, “সমস্যা হয়েছে। সমাধানের পথ খোঁজা চলছে।” এপ্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিকও। তিনি বলেন, “যে বাঙালি জাতি সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে, আজ তাঁরাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অপমানিত, লাঞ্ছিত। বাঙালি জাতিকে নতুন করে আরও একটা ভাষা আন্দোলনে পথে নামতে হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যের।”